আপনি যদি পৃথিবীর জীব বৈচিত্র্য নিয়ে যথেষ্ট সচেতন হয়ে থাকেন তাহলে এই তথ্যগুলো জানার পর আপনি কখনোই মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না।
যেমন…
১. পথ হারাচ্ছে মৌমাছি
যেমনটা কি আমরা সবাই জানি যে মৌমাছি দলবেঁধে একত্রে পথ চলার জন্য শব্দেতর তরঙ্গ ব্যবহার করে। কিন্তু মোবাইল ফোনের টাওয়ারের রেডিয়েশন এর ফলে মৌমাছি শব্দেতর তরঙ্গের তুলনায় দশ গুণ বেশি শব্দ শুনতে পায় ।
যার ফলে মৌমাছিরা দিক নির্ধারণ করতে পারে না এবং পথ হারায় । মৌমাছিরা একবার পথ হারালে তাদের জন্য টিকে থাকার ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রতিকূলতার সৃষ্টি হয় । এবং ঠিক এ কারণেই, যে সকল অঞ্চলে মোবাইলটা লক্ষ্য করা যায়, সে জায়গায় সচরাচর মৌমাছিরা বাসা বাঁধেনা ।
২. পাখিরা বিপর্যয়ের মুখে
মোবাইল ফোনে টাওয়ার থেকে নির্গত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফোর্স পাখিদের ডিম নষ্ট করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট । এবং ধারণা করা হয়ে থাকে, এটি দিনকে দিন পাখির সংখ্যা হ্রাস হওয়ার পেছনের অন্যতম একটি কারণ ।
এবং শুধু তাই নয় । গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সকল এলাকায় মোবাইলে টাওয়ার স্থাপন করা হয় সে সকল এলাকায় বন্যপ্রাণীদের নাজুক অঙ্গ গুলোর ভেতরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে
এবং এটা শুধু বন্যপ্রাণীদেরও নয় অনেক সময় মানুষের মস্তিষ্কেও হতে পারে। ২০২০ সালে এমন একটি প্লটের পরিপ্রেক্ষিতে বলিউডের অন্যতম ব্যয়বহুল ছবি টু পয়েন্ট জিরো নির্মাণ করা হয় ।
৩.নেদারল্যান্ডের ৩০০ পাখির মৃত্যুর ঘটনা
২০১৮ সালে নেদারল্যান্ডে সর্বপ্রথম ফাইভ জি পরিষেবা পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হয় । কিন্তু সেদিন থেকে শুরু করে এক সপ্তাহের মাথায় আনুমানিক ৩০০ টি পাখির মৃত্যু হয় । অধিকাংশ পাখির মৃত্যু হয়েছে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের কারণে ।
শুধু তাই নয় । ডাচ রেলওয়ে সার্ভিসের ৫জি সেবা চালু করার পর থেকে নিকটস্থ জলাশয় গুলোতে হাঁসের অদ্ভুত আচরণ লক্ষ্য করা যায়।
অধিকাংশ হাসই প্রায় সময় পানির নিচে তাদের মাথা ডুবিয়ে রাখছিল। কারণ বিশ্লেষণ করে জানা যায়, অতি তীব্র পাল্লার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফোর্স সহ্য করতে না পেরে মূলত হাঁসগুলো এমন আচরণ করছে।
সর্বোপরি এটি সমস্ত প্রাণীকুলের জন্য হুমকির কারণ স্বরূপ ।বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে বড়-বড় মোবাইল ফোন টাওয়ার বসানো হয়েছে৷ যে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে কিছুদিন আগে অব্দিও পাখ-পাখালির কিচির-মিচির শব্দে মানুষের ঘুম ভাঙতো,সেখানে আজ পাখিদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ৷ কেউ জানেনা, তাদের অস্বিত্ব যদি কখনো বিলিন হয়ে যায়, তাহলে মনুষ্যজাতি আদৌ পৃথীবিতে টিকতে পারবে কিনা!