এক সপ্তাহ আগেও টুইটারের সিইও ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক পরাগ আগারওয়াল। ২৭ অক্টোবর টুইটার কিনে নেওয়ার ঘোষণা দেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এরপর থেকেই পুরো টুইটারে চলছে সাইক্লোন। সে সাইক্লোনের সর্বশেষ তাণ্ডবে ভারতের ১০ জন ছাড়া আর সবাইকে চাকরিচ্যুত করেছেন সংস্থার নয়া মালিক মাস্ক। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
এ বছরের এপ্রিল থেকে ইলন মাস্কের টুইটার কিনে নেওয়ার আগ্রহ দেখা যায়। এর কিছুদিন পর ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নেওয়ার ঘোষণা আসে। পরে প্রতারণা অভিযোগে সে সিদ্ধান্ত স্থগিতের ঘোষণাও আসে। অবশেষে আদালতের নির্দেশে একেবারে শেষ দিনের আগের দিন গত ২৭ অক্টোবর টুইটার কেনার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন ইলন মাস্ক।
দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম আদেশেই ইলন মাস্ক সিইও পরাগ আগারওয়ালসহ তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন। এর পরপরই পুরো পরিচালনা পর্ষদকে বাতিল করে একক নিয়ন্ত্রণে নেন বোর্ড। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই সব কর্মী একটি ই-মেইল পান। তাতে বলা হয়, সবাইকে শুক্রবার সকাল নয়টায় চাকরি আছে নাকি নেই -তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
শুক্রবার সকাল থেকেই নিজেদের অফিস অ্যাকাউন্ট থেকে লগ আউট হয়ে যান কর্মীরা। হাজার হাজার কর্মী তাদের চাকরি হারানোর কথা জানাতে থাকেন। ভারতে টুইটারের চাকরি করছিলেন আড়াইশর মতো কর্মী। তাদের মধ্যে কেবল ১০ জন চাকরি টিকে যাওয়ার মেইল পান। বাকিদের টুইটারের সব অ্যাক্সেস থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভারতে মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিপার্টমেন্টের পুরোটাই সরিয়ে দিয়েছেন ইলন মাস্ক।
টুইটারের এভাবে গণহারে কর্মী ছাঁটাই নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হলেও ইলন মাস্ক পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, সংস্থা যখন দৈনিক ৪০ লাখ ডলারেরও বেশি লোকসাব দিচ্ছে, তখন কর্মী ছাঁটাইয়ের কোনো বিকল্প নেই।