দাঙ্গা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে টুইটারে নিষিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দিচ্ছেন টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক, আর সেই সিদ্ধান্ত তিনি দিয়েছেন এক ‘গণতান্ত্রিক’ উপায়ে।
বিবিসি লিখেছে, ট্রাম্পকে টুইটারে ফেরানো উচিত কি না, সেই প্রশ্ন রেখে একটি জরিপের ব্যবস্থা করেছিলেন মাস্ক। আর দেড় কোটি টুইটার ব্যবহারকারীর মধ্যে সেই ‘ভোটে’ ৫১.৮ শতাংশ সমর্থন পেয়ে ‘জিতে গেছেন’ ট্রাম্প।
টুইটারে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার রায় জানিয়ে মাস্ক টুইট করে বলেছেন, “জনগণ তাদের মত দিয়েছে। ট্রাম্প আবার ফিরবেন।” বিশ্বের শীর্ষ ধনী মাস্কের টুইট শেষ হয়েছে এক লাতিন বাক্যে: “ভক্স পপুলি ভক্স দেই”। এর মানে হল, মানুষের কণ্ঠই ঈশ্বরের কণ্ঠ।
ডনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য ফিরতে আগ্রহী নন। তিনি জানিয়েছেন, টুইটারে ফেরার কোনো কারণ তিনি দেখছেন না।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে টুইটারসহ প্রথমসারির সবগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ হন যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
সেদিন মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। ওই স্বীকৃতি আটকাতে কংগ্রেস সদস্যদের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই কয়েক হাজার ট্রাম্প সমর্থক সেখানে হামলা চালায়।
পুলিশ ট্রাম্প সমর্থকদের সরাতে গেলে সংঘর্ষ বাধে, তাতে চার বেসামরিক নাগরিক ও এক পুলিশ সদস্য নিহত হন।
ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আগে ৮ জানুয়ারি তাকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে টুইটার বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে ‘আরও সহিংসতার উসকানির ঝুঁকি’ এড়াতে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সে সময় ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৮০ লাখের বেশি। পরে তিনি নিজেই একটি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে নেন, নাম দেন ‘ট্রুথ সোশাল’।
নিজেকে ‘বাক স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় সমর্থক’ দাবি করা মাস্ক গত মে মাসেই ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
ট্রাম্প তখনও বলেছিলেন, আপাতত তিনি টুইটারে ফিরছেন না; বরং নিজের বানানো ‘ট্রুথ সোশাল’ নিয়েই তিনি বেশি আগ্রহী।