বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে টিকটক। সেই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো টিকটক অফলাইন অ্যাক্টিভেশন হিসাবে সেফটি অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রাম চালু করতে যাচ্ছে।
টিকটকের সেফটি অ্যাম্বাসেডরস প্রোগ্রামের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে, একটি প্রাণবন্ত, বৈচিত্র্যময় কমিউনিটির জন্য নিরাপদ এবং ওয়েলকামিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। টিকটক সবসময় উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল কমিউনিটিকে সমর্থন করে। পরিবারবান্ধব সংস্কৃতি, যা প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা অর্জনে পরিচালনা করা হয়। আর এটি সম্ভব হয়েছে ব্যবহারকারীর সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার ওপর মনোযোগ দেওয়ার কারণে।
টিকটকের #সেফটুগেদার উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য হলো- ব্যবহারকারীরা কীভাবে তাদের হাতে থাকা অ্যাপের বিভিন্ন ফিচারের সুবিধা নিতে পারে সে সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা। এই ক্যাম্পেইন সমর্থন করেছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত কিছু ব্যক্তিত্ব এবং নির্মাতারা। এই অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামে থাকছেন জনপ্রিয় এডুকেটর আয়মান সাদিক, জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, প্রখ্যাত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া, জনপ্রিয় কনটেন্ট নির্মাতা ইফতেখার রাফসান, সাবেক মিস বাংলাদেশ পিয়া জান্নাতুল এবং লাইফস্টাইল ইনফ্লুয়েন্সার ফাইজা। এই সেফটি অ্যাম্বাসেডররা ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলবেন এবং তাদের ফলোয়ারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইলে দায়িত্বশীল ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেবেন।
এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে টিকটক বাংলাদেশে সেফটি অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রাম চালু করে। সে সময় অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব তাহসান খান এবং দিলারা হানিফ পূর্ণিমা টিকটকের ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন।
ইন-অ্যাপ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ডিজিটাল সুস্থতা, বিশ্বাস এবং নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক বিষয় এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলো নিয়ে অসংখ্য ভিডিও দেখানো হয়েছে। যেমন ফ্যামিলি পেয়ারিং মোড ছিল এই ক্যাম্পেইনের অন্যতম বিষয় যেখানে ব্যবহারকারীদের পিতামাতা অ্যাপে তাদের সন্তানদের কার্যকলাপের ওপর নজর রাখতে পারে।