সানভীস বাই তনি’র বিরুদ্ধে পাকিস্তানি ড্রেসের পরিবর্তে দেশি ড্রেস দিয়ে ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে গিয়ে নতুন তথ্য পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় লাখনী কালেকশন (Lakhani Collection) নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযানে গেলে গুরুতর আরেক তথ্য পাওয়া যায়।
জানা গেছে, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাকিস্তানি কাপড়ের পোশাকের বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়েছে দেশি কাপড়ের পোশাক’ এমন অভিযোগ তুলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন একজন ভোক্তা। এর প্রেক্ষিতে গত ১৩ মে সানভীস বাই তনি’র গুলশানের পুলিশ প্লাজার শো-রুমে সরেজিমেন অভিযানে যায় ভোক্তা অধিকার। তবে পাকিস্তানি ড্রেস ক্রয়ের পক্ষে কোন ডকুমেন্ট দেখাতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটি জনস্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
এর প্রেক্ষিতে গত ১৪ মে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে উক্ত পাকিস্তানি ড্রেস Lakhani Collection থেকে ক্রয় করেছেন মর্মে জানান। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্তের স্বার্থে এবং সানভীস বাই তনি’র তথ্যের ভিত্তিতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে দেখা যায়, সানভীস বাই তনি কর্তৃক পাকিস্তানি ড্রেস্ট নামে যে ড্রেস বিক্রি করা হয়েছে তা Lakhani Collection এর স্বত্বাধিকারী বিক্রি করেনি মর্মে লিখিত দিয়েছেন।
এছাড়া Lakhani Collection পাকিস্তানি বলে ড্রেস বিক্রি করলেও পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে এই প্রতিষ্ঠানও কোন ডকুমেন্ট, ইমপোর্টের কাগজপত্র বা কোন ক্যাশমেমো দেখাতে পারেনি। Lakhani Collection পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করলেও যেখান থেকে ক্রয় করেছেন তার পক্ষে কোন ডকুমেন্ট, ক্যাশমেমো দেখাতে পারেনি। এছাড়া এসকল ড্রেস বিক্রি করারও কোনো ক্যাশমেমো দেখাতে পারে নি। তবে কিছু ক্যাশমেমো পাওয়া যায় যেখানে প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা দেওয়া নেই।
এসব অপরাধে Lakhani Collection এর সকল প্রকার কার্যক্রম জনস্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধের আদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।