আইফোন ১১ তার অত্যাধুনিক ক্যামেরার কারণে আলোচনায় এসেছে। অ্যাপলের এই ফোনটির মতো গুগলের পিক্সেল ৪ ফোনের ক্যামেরাও প্রযুক্তিবিদদের চোখ কপালে তুলেছে। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট তাদের একটি প্রতিবেদনে এই ফোন দুটির ক্যামেরা-রহস্য উন্মোচন করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পিউটেশনাল ফটোগ্রাফির কারণে এদের ছবি ভালো হচ্ছে। এই প্রযুক্তির কারণে ক্যামেরার অগণিত শট নেওয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কম্পিউটেশনাল ফটোগ্রাফি বিষয়টি কী?
অল্প কথায় এটি একটি ডিজিটাল পদ্ধতি। এর ব্যবহারে ক্যামেরার হার্ডওয়্যার থেকে আরও ভালো সার্ভিস পাওয়া যায়। যেমন অন্ধকারে ছবি তুলতে গেলে এই প্রযুক্তি কালার এবং লাইট অন্য ক্যামেরার থেকে নিখুঁত করে। ফোনের মতো ছোট ইমেজ সেনসর এবং লেন্সে বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কম্পিউটেশনাল ফটোগ্রাফিতে হাই ডায়নামিক রেঞ্জ (এইচডিআর) এবং প্যানোরামা (বিস্তৃত দৃশ্য) পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ছোট সেনসর খুব একটা সূক্ষ্ম ছবি তুলতে পারে না। বেশি আলো কিংবা অল্প আলোতে অধিকাংশ ফোনের ছোট সেনসর বিপাকে পড়ে যায়। এই এইচডিআর এবং প্যানোরামা প্রযুক্তি সেই সমস্যা দূর করে।
এইচডিআর শটে অনেক সময় ছবিকে কৃত্রিম মনে হয়। কিন্তু এই ফোন দুটির ছবিতে সেটি মনে হচ্ছে না। কারণ এখানে উন্নত ইলেকট্রনিকস এবং আরও ভাল অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে।
এসবের পাশাপাশি কম্পিউটেশনাল ফটোগ্রাফিতে ৩ডি টেকনিক ব্যবহার করা হয়। গুগল পিক্সেল রেখেছে আবার নাইট সাইট মোড, অ্যাপলে যেটিকে বলা হচ্ছে নাইট মোড।