ইউটিউবের ভিডিওতে প্রচলিত বিজ্ঞাপনে ‘হেইট স্পিচ’ পরিহারে বেশকিছু শর্তের পরিবর্তন করেছে গুগল। মার্কআপের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউটিউবে বিজ্ঞাপন রাখার ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনদাতারা ‘হোয়াইট লাইফ ম্যাটার’ এবং ‘হোয়াইট পাওয়ার’-এর মতো টপিকগুলোর অনুসন্ধান করতে পারত। এখন থেকে হেইট স্পিচের অন্তর্ভুক্ত এ রকম কোনো টার্ম ইউটিউব ভিডিওতে ব্যবহার করতে দেবে না গুগল। খবর দ্য ভার্জ।
মার্ক আপ জানায়, যখন আমরা তদন্ত শুরু করি তখন দেখতে পাই বিজ্ঞাপন দিতে বিজ্ঞাপনদাতাদের হোয়াইট সুপ্রিমিসি (শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য) ও অন্যান্য হেইট স্পিচ সংক্রান্ত লাখো লাখো ভিডিও ও ইউটিউব চ্যানেল সাজেশন দিয়েছিল গুগল। যেখানে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার স্লোগানের বিপরীতে অল লাইভস ম্যাটার এবং হোয়াইট লাইভস ম্যাটারের মতো স্লোগানও ব্যবহার করা হয়েছিল। সাউদার্ন পোভার্টি ল সেন্টার এ দুটি স্লোগানকে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারের বিপরীতে বর্ণবাদী প্রচারণা বলে আখ্যা দিয়েছে।
একই সময়ে গুগল বিজ্ঞাপনদাতাদের ভিডিও খোঁজা এবং পক্ষে-বিপক্ষে বিজ্ঞাপন চালানোর জন্য ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার স্লোগান বা বাক্যের ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ব্যাপারে ইউটিউবের প্যারেন্ট কোম্পানি গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, প্রতিষ্ঠানটি মূলত বর্ণবাদ ও সামাজিক ন্যায়বিচার সংক্রান্ত বেশকিছু শব্দের ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। যার মধ্যে ব্ল্যাক এক্সিলেন্স, সিভিল রাইটস শব্দ দুটিও রয়েছে।
দ্য ভার্জকে দেয়া এক ই-মেইলে গুগলের এক মুখপাত্র জানান, ঘৃণা ও হয়রানির বিষয়টিকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি এবং সেই সঙ্গে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাই।
আক্রমণাত্মক এবং ক্ষতিকর বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে ইউটিউবের বিভিন্ন পর্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে তারা প্রতিনিয়ত হেইট স্পিচের ভিডিও প্লাটফর্ম থেকে মুছে ফেলছে বলেও জানায়।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় ২০২০ সালে তারা প্রায় ৮৭ কোটি বিজ্ঞাপন মুছে ফেলছে। সব মিলিয়ে যার পরিমাণ ৩০০ কোটিরও বেশি।