হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হিসাবে বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয়। মেসেজ রিঅ্যাকশন নামে হোয়াটসঅ্যাপ একটি নতুন ফিচার আনতে চলেছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকের মন জয় করতে একের পর এক নতুন ফিচার নিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা চ্যাটিংয়ের সময় অপরের পাঠানো মেসেজে রিঅ্যাক্ট করতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ রিঅ্যাকশন ফিচার যুক্ত হলে তা আমাদের মেসেজিং অভিজ্ঞতাকে অনেক সহজ-সরল ও আকর্ষণীয় করে তুলবে। এর ফলে কোন মেসেজ আপনার কেমন লাগলো সেটা ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে আলাদা করে মেসেজ টাইপ করতে হবে না। এক্ষেত্রে ইমোজি প্রতিক্রিয়া বন্ধুকে আপনার মনের ভাব বুঝিয়ে দেবে।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এবার মেসেজে রিঅ্যাকশন দিতে পারবেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকরা। আইমেসেজ, ইন্সটাগ্রাম ও টুইটার-এ যেমন প্রত্যেক মেসেজে পৃথকভাবে রিঅ্যাকশন দেওয়া যায়, ঠিক সেই ভাবে কাজ করবে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার।
ওয়াবেটালইনফো ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই কোম্পানির এই ফিচারের টেস্টিং শুরু হয়েছে। অর্থাৎ খুব শিগগিরই বিটা ভার্সনে এই ফিচার হাজির হতে পারে।
ওয়াবেটালইনফো ওয়েবসাইটে একটি স্ক্রিনশট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই স্ক্রিনশট থেকে জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ-এর পুরনো ভার্সন ফোনে ইনস্টল থাকলে এই মেসেজ রিঅ্যাকশন দেখা যাবে না। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে নতুন রিঅ্যাকশন ফিচার দেখার জন্য অ্যাপ আপডেটেড থাকা বাধ্যতামূলক।
রিপোর্টে প্রকাশিত স্ক্রিনশটে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ আপডেট না থাকার জন্য মেসেজ রিঅ্যাকশন দেখানো সম্ভব হয়নি। তাই, হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ রিঅ্যাকশন কেমন দেখতে হবে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
আইমেসেজ, ইন্সটাগ্রাম ও টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মে প্রত্যেক মেসেজে পৃথক রিঅ্যাকশন দেওয়া সম্ভব। ফেসবুকের মেসেঞ্জার অ্যাপেও রয়েছে এই ফিচার। এর ফলে আরও ভালো ভাবে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন গ্রাহকরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে স্টিকার ফিচার নিয়ে এসেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। এর পরে ২০২০ সালে এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয় অ্যানিমেটেড স্টিকার।
এদিকে সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ-এর মাধ্যমে কোভিড ভ্যাকসিন স্লট বুক করার সুবিধা নিয়ে হাজির হয়েছে কেন্দ্র। এর ফলে এই মেসেজিং অ্যাপ থেকেই সরাসরি ভ্যাকসিন স্লট বুক করা যাবে।এর আগে মাইগভ করোনা হেল্পডেস্ক চ্যাটবটের মাধ্যমে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট ডাউনলোডের সুবিধাও নিয়ে হাজির হয়েছিল কেন্দ্র।
হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে ইতিমধ্যেই ৩২ লক্ষ মানুষ এই পরিষেবার ব্যবহার করে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করেছেন। গত বছর মার্চ মাসে অতিমারি শুরুর পরে প্রথম এই চ্যাটবট প্রকাশ্যে এসেছিল। হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লঞ্চের পর থেকে ৪.১ কোটি গ্রাহক এই চ্যাট বট ব্যবহার করেছেন।