মোবাইল এবং অনলাইন মানুষকে অনেক সুযোগ করে দিয়েছে। আর কিশোর ও তরুণরাই এর বেশি ব্যবহারকারী। অনেক ক্ষেত্রে তারা ক্ষতিকারক ওয়েবসাইট, হয়রানির সম্মুখীন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। ২০১০ সাল থেকে নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। গত ৯ বছরে এজন্য নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সচেতনতার অভাবে কার্যত তা খুব একটা সফল হচ্ছে না।
অপরদিকে বিভিন্ন ক্ষতিকর ওয়েবসাইট বিশেষ করে জুয়া ও পর্ণ সাইটগুলো বন্ধ করার পর আবারও চালু হয়ে হচ্ছে। জুয়ার ওয়েবসাইট অনেকবার বন্ধ করার পরও তা লাইভ দেখা যাচ্ছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০ হাজারের বেশি পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট ব্লক করা হয়েছে। এর আগেও ইন্টারনেট নিরাপত্তা ও টু-জি লেভেল প্রোগ্রামের আওয়াত ১৫২৩টি ওয়েবসাইট বন্ধ করেছে সরকার।
এইদিকে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, জীবনযাপন, সংস্কৃতি এবং অন্যান্য কিছুর সঙ্গে যা যায় না এমন বিপথগামী সাইট অ্যাপের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকে নিরাপদ ইন্টারনেট দিতে সরকারের এমন পদক্ষেপ চলমান থাকবে।
বছরের শুরুতে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করে জুয়া খেলা যায় এমন দেশ-বিদেশের ১৭৬টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন(বিটিআরসি)। কিন্তু তার পরও চলছে জুয়ার অনেক সাইট।
পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট
বাংলাদেশের সব পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশ । গত (১৯ নভেম্বর ২০১৯) দুপুরে হাইকোর্ট থেকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই সময় এক রিটের শুনানি নিয়ে ছয় মাসের জন্য দেশের সব পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট ব্লকের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। ২০১৬ সাল থেকে চলা এ অভিযানের প্রথম পর্যায় ৫৬০টি পর্নো ওয়েবসাইট ব্লক করা হয়েছিল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। সর্বশেষ ২৪৪টি পর্নো সাইট বন্ধ করা হয়েছে । কিন্তু দেখার বিষয় আসলে আমাদের দেশ থেকে কতটা পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে । ২০১৬ সাল থেকে দেশে পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও এসব সাইট পুরোপুরি ব্লক করা সম্ভব হয়নি। কিছুদিনের জন্য বন্ধ করা গেলেও পরবর্তীতে সাইটগুলো সচল হয়ে যায়। পর্নো সাইট বন্ধ করতে না পারার পেছনে প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অভাবও একটি বড় কারণ বলে জানা গেছে।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ২৪৪টি পর্ন সাইট বন্ধের বিষয়টি জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মন্ত্রী স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘২৪৪টি পর্ন সাইট বন্ধ করেছি। অভিযান চলছে। চলবে।’
মন্ত্রীর পদক্ষেপ পর বেশ কিছূ দিন পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট গুলো খুজে পাওয়া যেত না । বিশেষ করে যে সকল পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট বেশি খোজা হত। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছু ওয়েবসাইটের দেখা মিলেছে যে গুলো আবার পুনরাই চালু হয়েছে ।
গুগলে খুব সাধারন ভাবে সার্চ দিলেই চলে আসে অসংখ্য পর্ন সাইট । শুধু পর্ন (porn) লিখে সার্চ করলেই যদি চলে আসে তাহলে কি ধরণের সাইট বন্ধ করা হয়েছে সেইটাও ভাবার বিষয় ।
এখন প্রশ্ন হল আমাদের কি তাহলে প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অভাব এখনো রয়ে গেছে নাকি তার সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে না । আমার দেশে ফোরজি ইন্টারনেট এর ব্যবস্থা করেছি এবং ৫জি নিয়ে কাজ করছি কিন্তু তার সঠিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পেরেছি ।
জুয়া খেলা ওয়েবসাইট
২০১০ সাল থেকে নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। গত ৯ বছরে এজন্য নানামুখী উদ্যোগ নিলেও কার্যত তা সফলতার মুখ দেখেনি। জুয়ার ওয়েবসাইট অনেকবার বন্ধ করার পরও তা লাইভ দেখা যাচ্ছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০ হাজারের বেশি পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট ব্লক করা হয়েছে। এর আগেও ইন্টারনেট নিরাপত্তা ও টু-জি লেভেল প্রোগ্রামের আওয়াত ১৫২৩টি ওয়েবসাইট বন্ধ করেছে সরকার।
অনলাইনে জুয়া খেলার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হয়, এমন ১৭৬টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি)। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ দেশের সবগুলো আইআইজিকে পাঠানো এক নির্দেশনায় ওয়েবসাইটগুলো জরুরি ভিত্তিতে বন্ধের নির্দেশনা পাঠানো হয়।
১০ টাকায় ৭০০ টাকা, ২০ টাকায় ১৪০০ টাকা; অর্থাৎ প্রতি টাকার বদলে ৭০ গুণ লাভ- এমন আশায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
ভয়ঙ্কর এ জুয়া খেলার তথ্য উল্লেখ করে সিলেট বিভাগের কমিশনার ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম www.teercounter.com ওয়েবসাইটটি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি লিখেছেন। চিঠির একটি অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেও পাঠান হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। চিঠি পেয়ে বিটিআরসি ওয়েবসাইটটি বন্ধের নির্দেশনাও দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু এখনও সে নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়নি। আজও বন্ধ হয়নি জুয়া খেলার ওয়েবসাইটটি, বন্ধ হয়নি জুয়া খেলাও। ওয়েবসাইটটিতে ক্লিক করলে www.teertoday.com নামের ওয়েবসাইটটিতে নিয়ে যায় যেখানে পূর্বের নিয়মেই চলছে জুয়া খেলা ।
শুধু এই সাইট নয় এখনো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে চলছে ভয়ঙ্কর অনলাইন জুয়া খেলা সর্বস্ব হারাচ্ছেন সাধারন মানুষ । গুগলে বেট (bet) লিখে সার্চ করলেই আপনার সামনে চলে আসবে অসখ্য অনলাইন জুয়া ওয়েবসাইট।
এখনো গুগলে অসখ্য কন্টেন রয়েছে যেখানে কিভাবে অনলাইন জুয়া খেলা যায় তার বিষয়ে বিস্তারিত বলা রয়েছে।