যারা কমবেশি ব্লগিং করে তাদের সবারই এসইও সম্পর্কে কম-বেশি ধারণা রয়েছে৷ এস ই ও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার আর্টিকেল এর গুরুত্বপূর্ণ বোঝানো। এবং এর জন্য আপনার আর্টিকেল কে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর বিভিন্ন রুলস ফলো করতে হয়৷ এই রুলস গুলো যদি আপনার আর্টিকেল মেইনটেইন করে তাহলে সেটাকে বলা হয় এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল এর কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
টার্গেট কী ওয়ার্ড :
কিওয়ার্ড অর্থ আপনার আর্টিকেল এর বিষয়বস্তুর মূল শব্দ । আপনার আর্টিকেলটি অবশ্যই বেশিবার সার্চকৃত কিওয়ার্ড নিয়ে লেখা উচিত । তা না হলে আপনি আপনার সাইটে ভিজিটর পাবেন না।
টার্গেট কিওয়ার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা আরেক আর্টিকেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে৷ আপনি চাইলে টার্গেট কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ করতে Ahrefs নামক টুলসটি ব্যবহার করতে পারেন।
অনেকের কিওয়ার্ড সম্পর্কে ধারনা থাকে না। তাদের জন্য নিচে সংক্ষিপ্ত উদাহরণ দেওয়া হল:
মনে করুন আপনার আর্টিকেল এর টাইটেল “কিভাবে পেপাল একাউন্ট খুলব?” সেক্ষেত্রে আপনার আর্টিকেল এর কিওয়ার্ড হবে “পেপাল একাউন্ট “।
ব্যাপারটা ঠিক এমন। এস ই ও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার জটিলতর বিষয়টি হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ বা টার্গেট কিওয়ার্ড অনুসন্ধান।
এস ই ও ফ্রেন্ডলি টাইটেল নির্বাচন:
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে অনেকাংশেই এসইও ফ্রেন্ডলি টাইটেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি এস ই ও ফ্রেন্ডলি টাইটেল যেমন আপনার ভিজিটরদের আকৃষ্ট করবে, তেমনি সার্চ ইঞ্জিন কে আপনার আর্টিকেল এর গুরুত্ব বোঝাতে সক্ষম হবে।
সাধারণত সার্চ ইঞ্জিনগুলোর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স খুবই উন্নত। সুতরাং এরা সহজেই টাইটেল এর মূল্য বা গুরুত্ব বুঝতে সক্ষম। এছাড়াও ভিজিটররা আপনার পোষ্টের প্রতি কেমন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে সেটির উপর নির্ভর করে আপনার পোস্টটি আদোও র্যাংক করবে কিনা!
হেড ট্যাগ এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করুন:
অধিকাংশ ক্ষেত্রে আর্টিকেল লেখার সময় আমরা h-1 হেড ট্যাগ বেশি ব্যবহার করে থাকি৷ তবে এটি মোটেও উচিত নয়৷ ধারাবাহিক ভাবে h2, h3,h4 ইত্যাদি হেড ট্যাগ ব্যবহার করা উচিত। এগুলো আপনার আর্টিকেলটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে৷ এবং অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি করে তোলে । তার পাশাপাশি এগুলো ইউজার ফ্রেন্ডলি৷
রিরাইটিং আর্টিকেল থেকে বিরত থাকুন:
যেকোনো ধরনের রিরাইটিং আর্টিকেল থেকে বিরত থাকুন। এগুলো অ্যাডসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ অসুবিধা করবে তার পাশাপাশি যেকোনো এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার জন্য রিরাইটিং ফ্রি আর্টিকেল বর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করুন সবসময় আর্টিকেলের লেন্থ ১০০০ শব্দের ওপরে রাখা৷
অতিরিক্ত ছোট আর্টিকেল এসইও ফ্রেন্ডলি করতে খুব সমস্যা হয়।
কিওয়ার্ড এর সঠিক বন্টন:
কিওয়ার্ড টার্গেট করার পাশাপাশি কিওয়ার্ড বন্টন করাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করুন আর্টিকেল এর প্রথম প্রায় ৩-৪ টি কিওয়ার্ড রাখার এবং অতঃপর ২০০-৩০০ শব্দ পর পর একটি করে কিওয়ার্ড রাখার চেষ্টা করুন৷ এক জায়গায় অনেকগুলো কিওয়ার্ড রাখলে সেটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল বলা চলে না।
এছাড়াও আরো কিছু বিষয় বিবেচনা করা রয়েছে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার জন্য৷ ওয়ার্ডপ্রেস এর বিভিন্ন প্লাগিন রয়েছে । এছাড়াও ছোট খাটো টুলস রয়েছে, আপনারা চাইলে সেগুলো সাহায্য নিতে পারেন। তবে উপরে উল্লেখিত শর্ত গুলো মেনে চললে আশা করা যায় আপনার আর্টিকেলটি এসইও ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠবে।