অধিকাংশ মানুষই এখন একাধিক সিম ব্যবহার করে থাকেন। সিমের সহজলভ্যতা এবং একাধিক সিম ব্যবহারের সুবিধার কারণে অনেকেই কাজটি করেন। তবে অনেক সময় বিভিন্ন কারণে প্রয়োজনীয় সিম ছাড়া অন্য সিমগুলো ব্যবহার করা হয়ে ওঠে না। সেক্ষেত্রে সিমগুলো বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে দীর্ঘ সময়। এক্ষেত্রে ওই সিমটি হঠাৎ আপনার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু তখন দেখলেন সিমটির মালিকানা পরিবর্তন হয়ে গেছে। অর্থাৎ সিমটি অন্য কেউ কিনে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে সিম কোম্পানির কোনো দায় থাকে না।
মূলত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নিয়ম অনুযায়ী সিম কোম্পানি কাজটি করে থাকে। নিয়ম অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট সময় সিম ব্যবহার না করা হলে মালিকানা চলে যায়। আর তখন সিম কোম্পানি বৈধভাবে অন্য গ্রাহকের কাছে নম্বরটি বিক্রি করে দেয়। তাই সিম কত দিন বন্ধ থাকলে মালিকানা হারাবেন, এটি জানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নিই কতদিন সিম বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায়।
সিম কখন বন্ধ হিসেবে ধরা করা হয়
কতদিন সিম বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায় তা জানার আগে জানতে হবে কখন সিম বন্ধ হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশে নম্বর শুরু হয় ০১ দিয়ে। এর সঙ্গে আরও ৯টি অঙ্ক যোগ করে ১১ অঙ্কবিশিষ্ট একটি নম্বর তৈরি করা হয়। প্রতিটি অপারেটর জন্য এই দুই সংখ্যার পর একটি নম্বর কোড বরাদ্দ থাকে। যেমন— টেলিটক ০১৫, গ্রামীণফোন ০১৭ ও ০১৩, রবি ০১৮ ও ০১৬ এবং বাংলালিংক ০১৯ নম্বর সিরিজ ব্যবহার করে। এর সঙ্গে ৮টি সংখ্যা যুক্ত করে ১১ অঙ্কের মোট ১০ কোটি নম্বর তৈরি করতে পারবে।
এই সংখ্যাবিশিষ্ট সিম কেনার পর মোবাইলে ব্যবহার করলে সেটি সচল সিম হিসেবে ধরা হয়। এরপর কিছুদিন ব্যবহার করে সেটি মোবাইল থেকে খুলে রেখে দিলে তখন ওই সিমটিকে বন্ধ সিম হিসেবে ধরা হয়।
বন্ধ সিমের মালিকানা চলে যাবে কত দিন পর?
দেশে মোবাইল অপারেটর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে— গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও টেলিটক। এই কোম্পানিগুলো বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। অর্থাৎ দেশে সিমের ব্যবহার সংক্রান্ত সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে বিটিআরসি।
বিটিআরসির বন্ধ সিমের মালিকানা সংক্রান্ত একটি নিয়ম রয়েছে। নিয়ম অনুসারে, টানা ১৫ মাস বা ৪৫০ দিন সিম বন্ধ থাকলে সিমের মালিকানা চলে যায়।