বর্তমানে মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। সকালে ওঠার পর থেকে শুরু করে ঘুমোনোর আগে পর্যন্ত, আমাদের চোখ সবসময় ডুবে থাকছে মুঠোফোনে। দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলে চাপ বাড়ছে স্মার্টফোনের ব্যাটারির উপর। আর ফোনের ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে গেলে জীবনটাই অচল বলে মনে হয়। কিন্তু ব্যাটারি সেভ করার কিছু সঠিক কৌশল জানা থাকলে সহজেই ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব।
চলুন দেখে নিই, স্মার্টফোনের ব্যাটারি বাঁচাতে কী কী করণীয়।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ও ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস বন্ধ করুন
ফোনে ইনস্টল থাকা অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে রান করে ব্যাটারি দ্রুত শেষ করে ফেলে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন উভয় ফোনের সেটিংয়ে গিয়ে ব্যাটারি ইউজেস চেক করে দেখে নিতে পারেন কোন অ্যাপ বেশি চার্জ ব্যবহার করছে। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা বন্ধ করতে রেসট্রিক্স ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাক্টিভিটি অথবা ব্যাটারি অপ্টিমাইজেশন অপশন চালু করুন।
ডার্ক মোড ব্যবহার করুন
স্মার্টফোনের স্ক্রিন ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ার কারণ বা ব্যাটারির বিদ্যুৎ খরচের প্রধান উৎস। অ্যামোলেড বা অলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা একটু উন্নত ফোনে ডার্ক মোড চালু করলে ব্যাটারি বাঁচানো যেতে পারে। কারণ কালো অংশে পিক্সেলগুলো বন্ধ থাকে। ফলে কম বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং ব্যাটারির স্থায়িত্ব বেড়ে যায়।
অটো ব্রাইটনেস বন্ধ করে নিজে সেট করুন
হাই-ব্রাইটনেস স্মার্টফোনের চার্জ ফুরোনোর অন্যতম কারণ। আবার অনেকেই ফোনে অটো ব্রাইটনেস অপশন চালু রাখেন, যা প্রায়ই অপ্রয়োজনীয়ভাবে স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। এতে ব্যাটারির উপর বেশি চাপ পড়ে। তাই ম্যানুয়ালি ব্রাইটনেস কমিয়ে ব্যবহার করলে ব্যাটারি ভাল থাকবে।
লোকেশন ও সেন্সর অফ রাখুন
জিপিএস, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, ও এনএফসি সবসময় চালু করা থাকলে ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ করে দিতে পারে। সব সময় দরকার না পড়লে বন্ধ করে দিন অথবা ব্যাটারি সেভার মোড নির্বাচন করুন। ব্লুটুথ ও এনএফসি-র মতো ফিচার তখনই চালু করুন, যখন সত্যিই প্রয়োজন। সর্বদা অন রাখার প্রয়োজন নেই।
চার্জ দেওয়ার অভ্যাস ঠিক রাখুন
বর্তমান সময়ে ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি সুবিধাজনক বলে মনে হতে পারে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলে এটি ব্যাটারির স্বাস্থ্য নষ্ট করতে পারে। তাই ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়াতে ২০-৮০% চার্জিং রেঞ্জ মেনে চলুন এবং সম্ভব হলে স্লো চার্জিং পদ্ধতি ব্যবহার করুন। চার্জ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও অনেকে সুইচ অফ করেন না বা চার্জারের তার ফোনে গুঁজে রাখেন৷ এটা কিন্তু ভাল অভ্যাস নয়।