প্রায় দুই বছর আগে জব্দকৃত টেলিকম যন্ত্রপাতি ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হুয়াওয়ে।
গত শুক্রবার ওয়াশিংটনের ফেডারেল কোর্টে এ মামলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, মার্কিন কর্মকর্তারা এসব যন্ত্রপাতি চীনে ফেরত পাঠানোর জন্য কোনো রফতানি সনদের প্রয়োজন আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন। খবর ব্লুমবার্গ ও রয়টার্স।
মামলায় বলা হয়, এসব যন্ত্রপাতির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য সরবরাহ করা হয়েছিল। দেশটির প্রচলিত আইন অনুযায়ী যন্ত্রপাতিগুলো চীনে ফেরত পাঠাতে কোনো লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই।
হুয়াওয়ের আইনজীবীরা জানান, আটককৃত যন্ত্রপাতিগুলো ২০১৭ সালে পরীক্ষার জন্য ক্যালিফোর্নিয়ার ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার পর এগুলো চীনে ফেরত যাওয়ার কথা। তবে দেশটিতে ফেরত পাঠানোর পথে লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা, তা জানার কথা বলে আলাস্কায় এসব যন্ত্রপাতি আটক করা হয়।
তারা বলেন, বাণিজ্য বিভাগের কর্মকর্তারা ২০ মাস ধরে হাত গুটিয়ে বসে আছেন। তবে তারা লাইসেন্স লাগবে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে চীন সরকারের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আছে যুক্তরাষ্ট্রের। গত মে মাসে মার্কিন সরকার চীন প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে কানাডা হুয়াওয়ের
প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মেং ওয়ানঝুকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়াতে প্রতারণার আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ আছে।