শনিবার জাতীয় সংসদে জাতীয় অর্থ বিল পাস হয়েছে। এতে স্মার্টফোনের আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশই বহাল রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে আরোপিত এই করে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। এই শুল্কের পরিমাণ গত অর্থ বাজেটে ছিল ১০ শতাংশ যা বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল চলতি অর্থবছরের বাজেটে।
এ বিষয়ে স্মার্টফোন আমদানিকারকরা বলছে, সদ্য পাস হওয়া জাতীয় অর্থ বাজেটে স্মার্টফোন আমদানিতে যে বাড়তি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে সবমিলে ৫৭ শতাংশের বেশি কর গুণতে হবে আমদানিকারকদেরকে। এতে দেশের বাজারে আমদানি করা স্মার্টফোনের মূল্য অকে বেড়ে যাবে।
বাজেটে বলা হয়, স্মার্টফোন সমাজের বিত্তবান লোকজন ব্যবহার করে ফলে এতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে ফিচার ফোন নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠি ব্যবহার করে। বর্তমানে ফিচার ফোনের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ, যা আগের বাজেটেও ছিল। আইসিটি খাতের অন্যতম অনুষঙ্গ সেলুলার ফোন উত্পাদন ও সংযোজনে রেয়াতি সুবিধার কারণে দেশে এ জন্য ৬টি কারখানা স্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে এবারের বাজেটে সেই সুবিধা রেখে সেলুলার ফোন উত্পাদনে কিছু যংন্ত্রাংশ আমদানির শুল্ক কমানো হয়। এর আগে আমদানি করা স্মার্টফোনে মোট করের পরিমাণ ছিল ৩২ শতাংশ। এই ৩২ শতাংশের মধ্যে আমদানি শুল্ক ছিল ১০ শতাংশ।
অন্যদিকে দেশে সংযোজিত স্মার্টফোনের মোট কর প্রায় ১৭ শতাংশ। চলতি অর্থ বাজেটেও তা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এছাড়াও, স্মার্টফোনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের প্রস্তাব রয়েছে এতে। তবে দেশে উত্পাদিত হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে কর হবে মাত্র ৫ শতাংশ, যা নতুন বাজেটে অব্যহত থাকবে।
গত অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল হ্যান্ডসেটের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ করা হয়। যা আগে ছিল ৫ শতাংশ। বিপরীতে স্থানীয়ভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরিতে প্রয়োজনীয় সব রকমের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্কছাড় ও প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল।