মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞা মেনে সাময়িক বিরতির পর সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি মাইক্রোন টেকনোলজি ইনকরপোরেশন হুয়াওয়েকে কিছু চিপের সরবরাহ দিতে শুরু করেছে। গত মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। খবর এএফপি।
বিবৃতিতে মাইক্রোন টেকনোলজি জানায়, হুয়াওয়ের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে নেয়া হয়নি। এর মাঝেই কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠান চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটির সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার উপায় খুঁজে পেয়েছে। সে অনুযায়ী অনেক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে পণ্য সরবরাহ শুরু করেছে। আমরাও একই পথ অনুসরণ করছি।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন ‘সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন’-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের সদস্যরা মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞা মেনে কাজ করছে। এটা নিশ্চিত যে, এ নিষেধাজ্ঞা মেনেই হুয়াওয়ের কাছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোর কিছু পণ্য বিক্রির সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকেই চীনা প্রতিষ্ঠানটিতে পণ্য সরবরাহের সুযোগ রয়েছে।
মাইক্রোন টেকনোলজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সঞ্জয় মেহত্রা বলেন, তারা হুয়াওয়ের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করেছেন। এতে আইন মেনেই বিদ্যমান কিছু পণ্য হুয়াওয়েকে সরবরাহ করা সম্ভব, যা কোনোভাবেই রফতানি নিষেধাজ্ঞার পরিপন্থী নয়।যুক্তরাষ্ট্রের আইন মেনে যে পণ্যগুলো চীনা প্রতিষ্ঠানটিতে সরবরাহ করা সম্ভব, গত সপ্তাহ থেকে সেসব পণ্য সরবরাহের কার্যক্রম শুরু করেছি। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা কত সময় স্থায়ী হয়, তার ওপর নির্ভর করছে বাকি পণ্য সরবরাহ শুরুর বিষয়টি। হুয়াওয়ে ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে, তা নিশ্চিত নয়।
নিউইয়র্ক টাইমস নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মার্কিন চিপ নির্মাতাদের গুরুত্বপূর্ণ গ্রাহক হুয়াওয়ে। বিশ্বের বৃহৎ টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম এবং দ্বিতীয় বৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির কাছে চিপ বিক্রির বিকল্প উপায় বের করেছে মার্কিন চিপ নির্মাতারা। নিষেধাজ্ঞা মেনে প্রতিষ্ঠানটিতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে তৈরি চিপ সরবরাহ করছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নিজেদের পণ্য উৎপাদন করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে উৎপাদিত পণ্য হুয়াওয়ের কাছে বিক্রির বিষয়টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত। এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো। বাস্তবে এমন হলে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞার কারণে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন এবং সার্ভার ব্যবসায় কোনো প্রভাব পড়বে না। বিষয়টি ঘিরে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।