গুগল ও ফেসবুকের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টদের ব্যবহূত অ্যালগরিদম নজরদারির জন্য পৃথক দপ্তর চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম নজরদারির জন্য পৃথক দপ্তর চালুর পরিকল্পনা বিশ্বে এটাই প্রথম। বৈশ্বিক প্রযুক্তি জায়ান্টরা কীভাবে গ্রাহকের সঙ্গে বিজ্ঞাপন মেলায়, তা বের করাই হবে এ বিশেষ দপ্তরের প্রধান কাজ। খবর বিবিসি।
অন্যদিকে এক দিন আগেই প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তদন্ত পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
অস্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী (ট্রেজারার) জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, “এই প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশীল এবং মূল্যবান প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে পড়ে। তাদের দায়বদ্ধতা থাকতে হবে এবং তাদের আরও বেশি স্বচ্ছ হতে হবে।”
অস্ট্রেলিয়ান সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, এই সময়ে প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানের অ্যালগরিদম কীভাবে কাজ করছে সে বিষয়ে গ্রাহকের স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। সাধারণত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কম্পিউটার যেসব অ্যালগরিদম বা গণনা কৌশল ব্যবহার করা হয় সেগুলো অত্যন্ত সুরক্ষিত রাখা হয়।
নতুন দপ্তর পুরোদমে চালুর পরিকল্পনা ১২ সপ্তাহ ধরে যাচাই করা হবে। এরপরই এর কার্যক্রম শুরু করতে পারবে অস্ট্রেলিয়ান সরকার।
এসিসিসি চেয়ারম্যান রড সিমস বলেন, নীতিনির্ধারকরা এখন ফেসবুক ও গুগলের ওপর অন্তত পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন তদন্ত চালাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান দুটিকে “আরও বেশি স্বচ্ছ” থাকার দাবি করেছেন সিমস। প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে দেওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছে ফেসবুক এবং গুগল দুই প্রতিষ্ঠানই।