ফেসবুক, গুগল এবং ওরাকলের মাধ্যমে পর্নো সাইট ব্যবহারকারীদের ডাটা ট্র্যাক ও লিক হচ্ছে বলে সম্প্রতি মাইক্রোসফটের এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকটাইমসের বরাত দিয়ে জানা গেছে, কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়ার গবেষকরা এই গবেষণায় মাইক্রোসফটকে সহযোগিতা করেছে। এখানে তারা ২২ হাজার ৪৮৪টি পর্নো সাইটের ডাটা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। গবেষকরা সাইটগুলোতে প্রচুর সংখ্যক ওয়েব ট্র্যাকার খুঁজে পেয়েছেন।
জানা গেছে, এই ওয়েব ট্র্যাকারগুলোর ৭৪ শতাংশ গুগলের, ২৪ শতাংশ ওরাকলের এবং ১০ শতাংশ ফেসবুকের। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করেও তারা শতভাগ সুরক্ষিত থাকেন না, উল্টো থার্ড পার্টি কোডের হাতে পড়েন। প্রতিষ্ঠানগুলো এই থার্ড পার্টি কোডের সুযোগ নিয়ে ব্যবহারকারীদের গতিবিধিতে নজরদারি চালাতে পারে।
মাইক্রোসফটের গবেষক এলেনা মারিস এ প্রসঙ্গে জানান, বিষয়টি সত্যিই চিন্তা করার মতো। সাধারণত এই প্রক্রিয়ায় অনলাইন রিটেইল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এ দিকে গুগল মুখপাত্র বিষয়টি অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তারা ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে কোনো মার্কেটিং প্রোফাইল তৈরি করেন না।
তিনি বলেন, অ্যাডাল্ট কনটেন্ট রয়েছে এমন কোনো সাইটে আমরা গুগল অ্যাডস দেই না, পার্সোনালাইজড অ্যাডও দিতে নিষেধ করি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের যৌন-আগ্রহ বা এ সম্পর্কিত কার্যকলাপের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা কোনো বিজ্ঞাপন প্রোফাইলও তৈরি করি না।
ফেসবুকের মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান এ ধরনের বিজ্ঞাপন সমর্থন করে না এবং ফেসবুকের ট্র্যাকিং টুল এ ধরনের কাজে কেউ যাতে ব্যবহার না করতে পারে, সে বিষয়ে নজর রাখে।