ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক আইডি খোলার নিয়মে কিছুটা বাড়তি বাধ্যবাধকতা আনতে যাচ্ছে ফেসবুক। এ নিয়মে পরিচয় গোপন করে অ্যাকাউন্ট খোলার যে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যেত সেটি এখন থেকে ফেসবুকে আর করা যাবে না। ফেসবুকের ফেক আইডির বিড়ম্বনা কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।
নতুন আইডি খুলতে গেলে ব্যবহারকারীকে কমপক্ষে একটা প্রোফাইল ছবি ও আইডির জন্য বিশেষ কিছু তথ্য যোগ না করলে এখন থেকে অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা আর পাওয়া যাবে না ফেসবুকে।
এছাড়াও নতুন বাধ্যবাধকতার কারণে ফেসবুকে মোবাইল নম্বর দিতেই হচ্ছে ব্যবহারকারীকে। অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য ব্যবহারকারীকে অবশ্যই প্রোফাইলের ছবি ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে অ্যাকাউন্ট খুলতে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট তৈরি বন্ধ করতে এবং বেনামে হয়রানির আশঙ্কা ঠেকাতে এ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যাদের একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে, তাদের জন্য ফেসবুকে প্রোফাইলের বাড়তি তথ্য দেয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুকে লগইন করতে গেলে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এসব অ্যাকাউন্ট ইউজারকে।
যদি এসব অ্যাকাউন্টে মোবাইল নম্বর দেয়া না থাকে, তবে ফেসবুক মোবাইল নম্বর ও অন্তত একটি প্রোফাইল পিকচার চাইবে। আর একই মোবাইল নম্বর দিয়ে একাধিক ফেসবুক আইডি খোলার সুযোগও দিচ্ছে না ফেসবুক।
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিনষ্টের আশঙ্কায় ইতিমধ্যে অনেকেই ফেসবুক থেকে তাদের প্রকৃত অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছেন। ওই ব্যবহারকারীরা আরেকটি ডামি বা ‘নকল’ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফেসবুকে লগইন করছেন।
ওই এসব অ্যাকাউন্টে প্রায় সময় ছবি বা মোবাইল নম্বর দেন না ব্যবহারকারীরা। এমনকি ফ্রেন্ড লিস্টে কাউকে গ্রহণ করেন না। বিভিন্ন ফেসবুক পেজ দেখতে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে অন্যান্য অ্যাপে লগইন করতে ব্যবহার করা হয়।
এসব ডামি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে তাদের মোবাইল নম্বর ও প্রোফাইলের ছবি দিতেও বাধ্য করবে ফেসবুক।
ইতিমধ্যে গ্রাহকের ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা এবং নানা কেলেঙ্কারিতে চাপে রয়েছে ফেসবুক। ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)।
জরিমানার পাশাপাশি ফেসবুককে একটি প্রাইভেসি কমিটিও গঠন করতে বলা হয়েছে। ওই কমিটির ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না প্রতিষ্ঠান প্রধান মার্ক জাকারবার্গের।
প্রাথমিকভাবে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তথ্য কেলেঙ্কারির ঘটনায় অবৈধভাবে ৮.৭ কোটি গ্রাহকের তথ্য দেয়ার জন্য দায়ী করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটিকে। পরে এতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির মতো অন্যান্য ঘটনা যোগ করে এফটিসি।