ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর পুরো জীবনটাই বাংলাদেশের ইতিহাস। পৃথিবীর একমাত্র ভাষা ভিত্তিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষুদামুক্ত – দারিদ্রমুক্ত বৈষম্যহীন জাতি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারের হত্যার পর দীর্ঘ একুশ বছর পাকিস্তানদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে।
মন্ত্রী আজ বুধবার ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমিতে আর্কাইভ একাত্তরের উদ্যোগে শতবর্ষের পথে বঙ্গবন্ধু শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের তথ্য তুলে ধরে বলেন, বাঙালির হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু যুগ-যুগান্তর অম্লান হয়ে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা যতদিন দেহে প্রাণ আছে, বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্য কিছু বুঝে না, বলেন মন্ত্রী।
তিনি বাংলাদেশকে নাঙ্গল জোয়ালের দেশ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বকে বাংলাদেশের অগ্রগতির মাইলফলক উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারি দেশ। তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশ নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, তথ্যযোগাযোগ বিপ্লবের যাত্রা ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে শুরু হয়েছিল। যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টায় আইটিইউ এর সদস্যপদ অর্জনের মধ্য দিয়ে টেলিযোগাযোগ দুনিয়ায় বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল যাত্রার ভিত্তি স্থাপিত হয়।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, সাবেক ছাত্রনেতা শুভাশীষ সিং রায় এবং শিক্ষাবীদ অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী শতবর্ষের পথে বঙ্গবন্ধু শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন ।