নিউজ সেকশন আনছে ফেসবুক। আর সেকশনের কন্টেন্টের জন্য পত্রিকা প্রকাশকদের লাখ লাখ ডলার অফার করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে গত বৃহস্পতিবার এমন একটি প্রতিবেদন বেরিয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট, এবিসি নিউজের মতো গণমাধ্যমকে এমন প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর বিজনেস ইনসাইডার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, প্রতিবেদনের স্বত্ব কিনতে একেকটি গণমাধ্যমকে বছরে ৩০ লাখ ডলার পর্যন্ত দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ব্লুমবার্গ, ওয়াশিংটন পোস্ট, এবিসি নিউজ এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্যারেন্ট কোম্পানি ডাও জোনসকে এমন প্রস্তাব দিয়েছেন ফেসবুকের নির্বাহীরা।
তবে প্রকাশকদের প্রস্তাব দেয়ার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলেও ফেসবুক নির্বাহীদের পক্ষ থেকে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ নিউজ সেকশন নামে নতুন একটি সেকশন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ফেসবুকের। বিশেষ এ সেকশনে শুধু খবর থাকবে। অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি গণমাধ্যমের বিকল্প হিসেবেও প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা করছে মার্ক জাকারবার্গের এ প্রতিষ্ঠান।
যদিও ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, আপত্তিকর ও সহিংসতামূলক কন্টেন্ট ছড়িয়ে দেয়ার প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার হওয়ার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেসবুক।
গত মার্চের শেষদিকে ফেসবুকে নিউজ সেকশন চালুর ঘোষণা দেন মার্ক জাকারবার্গ। ‘উচ্চমান ও নির্ভরযোগ্য’ গণমাধ্যম হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি। ওই সময় এ উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সিএনএনকে জানান, চলতি বছরের শেষ নাগাদ সেকশনটি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
নিউজ সেকশন নিয়ে নিজের পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জাকারবার্গ বলেন, তার ভিশন ১০, ১৫ বা ২০ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী এ সেকশনটি ব্যবহার করবে। উচ্চমানের সাংবাদিকতা ছড়িয়ে দিতে ফেসবুকের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে বলে উল্লেখ করে সেকশনটি নিজের মতো গুছিয়ে নেয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
এ বছরের শুরুর দিকে নিউজ কন্টেন্টের সাবস্ক্রিপশন সেবা চালু করে অ্যাপল। এ ঘোষণার কিছুদিনই পরই ফেসবুকে ডেডিকেটেড নিউজ সেকশন যুক্ত করার ঘোষণা দেন মার্ক জাকারবার্গ।
এর জন্য সাংবাদিক নিয়োগ দেয়ার কোনো পরিকল্পনার কথা তিনি জানাননি। তবে কোনো নিউজ কন্টেন্ট প্রকাশের আগে সেটি যাচাই-বাছাই ও তত্ত্বাবধানের জন্য সাংবাদিকদের একটি দল রাখার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন এ উদ্যোগসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।