জাপানে ১৪টি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দক্ষ কর্মীদের জন্য কর্মসংস্থানের বিশাল এক বাজার রয়েছে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে এ সুযোগ কাজে লাগাবে। বাংলাদেশে সফররত জাপানের আজিক্কি গ্রুপের এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট আউমু তাকাসি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এর সাথে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী একথা বলেন।
বৈঠককালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানান, জাপানের চাহিদা অনুযায়ী ১৪টি ক্যাটাগরির প্রতিটিতে যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাপানে কর্মসংস্থানের সুযোগ কাজে লাগাতে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির জন্য সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন টেলিকম ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট ও ৪টি পোস্টাল একাডেমিকে জাপানের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য কাজে লাগানো সম্ভব।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত এক বন্ধু। জাপানের জনগণের অনুকরণীয় জীবন যাপন এবং আচরণ বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য খুবই আকর্ষণীয় এবং জাপান অত্যন্ত উপযোগী কর্মক্ষেত্র।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের সিলেবাস বা কারিক্যুকুলাম পেলে দক্ষ জনবল তৈরি করার দায়িত্ব আমাদের। দেশে ৬৫টি ল্যাবে জাপানি ভাষাসহ ৯টি ভাষা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মি: আউমু তাকাসি জানান, জাপানে বর্তমানে কেয়ার ওয়ার্কার, বিল্ডিং ক্লিনিং ম্যানেজমেন্ট, মেশিন পার্টস এন্ড টুলিং ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্স এন্ড ইনফরমেশন ইন্ডাস্ট্রি, কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি. শিপ বিল্ডিং এন্ড শিপ মেশিনারিজ ইন্ডাস্ট্রি, অটোমোবাইল রিপেয়ার ইন্ডাস্ট্রি, এভিয়েশনস ইন্ডাস্ট্রি, একমোডেশন ইন্ডাস্ট্রি, এগ্রিকালচার, ফিশারিজ, ফুড এন্ড বেভারেজ এবং ফুড সার্ভিসেস ইন্ডাস্ট্রিতে ৩ লাখ ৪০ হাজার কর্মীর চাহিদা রয়েছে। লাইসেন্স প্রাপ্ত ৯ টি জাপানি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৯ টি দেশ থেকে এই সকল কর্মী নিয়োগ করা হবে। ৯ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্তর্ভূক্ত নয়। তবে সরকার বাংলাদেশকে এই তালিকায় যুক্ত করার জরুরী পদক্ষেপ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে টেকনোগ্রাম লিমিটেডের সিইও একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।