কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানে মধ্যে যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে সেটি সীমান্ত পেরিয়ে ইন্টারনেটে দুনিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করতে বা কোনো কিছু নিয়ে সমালোচনা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন। ভারত-পাকিস্তানের নেটিজরদের মধ্যে এই মুহূর্তে চলছে তেমনই এক যুদ্ধ!
সম্প্রতি কাশ্মীরে ১৪৪ ধারা জারি ও ব্যাপক ধরপাকড়ের ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার হিটলার বা কসাই হিসাবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এছাড়া গুগলে বিশ্বের কুখ্যাত ১০ সন্ত্রাসী (টপ টেন ক্রিমিনাল অব দ্য ওয়ার্ল্ড) লিখে সার্চ দিলেই ভেসে আসছে মোদির ছবি।
বসে নেই ভারতীয়রাও। সার্চ ইঞ্জিন গুগলে গত বছর গুগলে ‘ভিখারি’লিখে সার্চ দিলে ভেসে আসছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ছবি। এখন আবারো গুগলে ইংরেজিতে ভিখারি লিখে সার্চ করলে আসছে ইমরান খানের ছবি।
এ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়াও উৎসাহের সাথে প্রতিবেদন করছে ইমরানের ‘ভিখারি’ হওয়ার গল্প নিয়ে। পাল্টা জবাব দিতে পিছিয়ে নেই পাকিস্তানীরাও। অবশ্যই বিষয়টির সঙ্গে পাকিস্তানের ভঙ্গুর অর্থনীতির একটি সম্পর্ক রয়েছে।
২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে গুগলে একই ধরনের ব্যঙ্গ-রসে মেতেছিল পাকিস্তানিরা। ওই সময় টপ টেন ক্রিমিনাল লিখে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখান যে অন্য কয়েকজন অপরাধী ব্যক্তির সাথে মোদির ছবিও দেখায় গুগল।
অবশ্য মোদির জন্য এসব কোনো নতুন ঘটনা নয়। এর আগে ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার কারণে তার উপাধি জুটেছিলো ‘গুজরাটের কসাই।’ বলাবাহুল্য ওই দাঙ্গায় প্রচুর মুসলিম নিহত হয়েছিলো। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো অসংখ্য ঘরবাড়ি। আর এই দাঙ্গার সঙ্গে মোদির পরোক্ষ যোগসাজস ছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে।
কেবল তাই নয়, গুগলে এক সময় সবচেয়ে বোকা প্রধানমন্ত্রী (দ্য মোস্ট স্টুপিড প্রাইম মিনিস্টার) লিখে সার্চ দিলেও মোদির নাম আসতো বলে জানা গেছে।