ওয়ালটনের পণ্য বিশ্বব্যাপি যে ভাবে বিস্তার লাভ করছে আগামি ২০৩০ সালের মধ্যে ওয়ালটন বিশ্বের ৫ম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বর্তমানে দেশের শীর্ষ প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা ও বিক্রেতা ওয়ালটন ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটনের প্রধান কার্যালয়ে অ্যামাজনের মার্চেন্ট হিসেবে ওয়ালটনের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন ।
তিনি বলেন, তিনি বলেন ওয়ালটনের মাধ্যমে দেশে যে প্রযুক্তির বিপ্লব শুরু হয়েছে তা অব্যহত রাখতে সরকার সব সময় ওয়ালটনের সাথে আছি । ওয়ালটনের মাধ্যমে দেশে এখন বিভিন্ন মাদারবোর্ড ও তৈরি হচ্ছে । আমরা আসা করি শুধু আমেরিকা-ইউরোপে নয় বিশ্বের সকল দেশে ওয়ালটনের পণ্য পৌছে যাক ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওয়ালটন দেশের এখন শুধু বেসরকারি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নয় দেশের প্রতিনিধি । বর্তমানে আমারা এখন শুধু দেশে প্রযুক্তি পন্য শুধু উৎপাদন করি না দেশের বাইরে রপ্তানিও করি বলে তিনি উল্লেখ করেন ।
তিনি আরও বলেন, আমরা ২০১৬ সালে যেমন দেশের প্রযুক্তি পন্য উৎপাদনে সরকারি যেমন পলিসি সাপোর্ট দিয়েছিল আগামিতে আমরা পেমেন্টের বিষয় কিভাবে সহজ করা যায় তা নিয়ে কাজ করব । ২০২৪ সালের মধ্যে আমাদের যে ৫ মিলিয়ন ডলার আয়ের যে টার্গেট তা পুরনে এবং ২০ লক্ষ তরুন তরুনীর কাজের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই তা ওয়ালটনের এই উদ্যোগ এবং ওয়ালটনের এই উদ্যোগকে অনুসরন করে অনন্যা প্রতিষ্ঠান কাজ করবে এবং আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে।
আমেরিকা-ইউরোপেসহ বিশ্বে অ্যামাজনের ১৮ টি ওয়্যারহাউজে ওয়ালটনের পণ্য যাবে। অ্যামাজনের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে দেশিয় কোম্পানিটির এসব পণ্য বিক্রির জন্য তোলা হবে।
অ্যামাজন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার শশাংক পান্ডে এবং ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও কম্পিউটার পণ্য বিভাগের প্রধান নির্বাহী লিয়াকত আলী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি সই করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম, ওয়ালটন ডিজি টেকের চেয়ারম্যান এসএম রেজাউল আলমসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।