যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যে ২৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করেছে অ্যাপল। গত আট বছরের তুলনায় সংখ্যাটি চার গুণ বেশি।
২৪ লাখের মধ্যে ৯০ হাজার মানুষ সরাসরি অ্যাপলে চাকরি করেন। ১৯ লাখ মানুষ কাজ করেন থার্ড পার্টি কোম্পানিতে।
এর বেশিরভাগই কাজ করেন সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে। যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য নয় হাজার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি আছে অ্যাপলের।
এ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মসংস্থান হয়েছে চার লাখ মানুষের। বাকিরা কাজ করেন পণ্য সরবরাহকারী ও ঠিকাদার হিসেবে। গত বছর শুধু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পেছনে অ্যাপল খরচ করেছে ৬০ বিলিয়ন ডলার (ছয় হাজার কোটি ডলার)।
কিউপারটিনোভিত্তিক কোম্পানিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ২০২৩ সাল নাগাদ ৩৫ হাজার কোটি ডলার যোগ করবে।
সে বছর আরও ২০ হাজার চাকরিও সৃষ্টি করবে তারা। এছাড়াও নির্মাণাধীন আরেকটি হেডকোয়ার্টারে ১২শ’ গবেষক নিয়োগ দেবে অ্যাপল। সিয়াটেলেও নতুন করে ২ হাজার দক্ষ প্রকৌশলী নেবে তারা। অনেকদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পণ্য তৈরির জন্য অ্যাপলকে চাপ দিয়ে আসছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
চীনে কম খরচে পণ্য উৎপাদনকে নিরুৎসাহিত করতে সম্প্রতি বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ওপর আমদানি শুল্কও বসিয়েছে ট্রাম্প সরকার।
এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে তাদের অবদান কতটুকু সে তথ্যই সামনে আনল অ্যাপল।