অ্যাপলের কোনো ডিভাইস ভাইরাসে আক্রান্ত হয় না। হ্যাক করতে গেলেও ঘাম ছুটে যাবে। খোদ এফবিআই বেশ কিছুদিন আগে এক সন্দেহভাজনের আইফোনের লক খুলতে পারছিল না দেখে অ্যাপলের দ্বারস্থ হয়। অ্যাপল সেই লক খুলে দিতে অস্বীকৃতিও জানায়।
শুধু নিরাপত্তার কারণেই আইটিউনস ছাড়া খুব কমসংখ্যক ডিভাইসে ডেটা সিঙ্ক করা যায় না। এটা অনেক ক্ষেত্রে অসুবিধাজনক হলেও নিরাপত্তার ব্যাপারটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ বলা হয় অ্যাপলের আইওএসকে।
সাম্প্রতিক এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের সবচেয়ে বড় হুমকি স্পাইওয়্যারের বিপক্ষে শুধু আইওএস ছাড়া আর কোনো মোবাইল প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না। অ্যান্ড্রয়েড, ব্ল্যাকবেরি, সিমবিয়ান কিংবা উইন্ডোজের তুলনায় আইওএস অনেক বেশি নিরাপদ। আইফোন হারিয়ে গেলে ‘ফাইন্ড মাই আইফোন’ সিস্টেম দিয়ে আপনি তা খুঁজে বের করতে পারবেন। যদিও এ অ্যাপের শতভাগ সুবিধা রয়েছে শুধুই উন্নত বিশ্বে। পাশাপাশি টাচ স্ক্রিন প্রযুক্তিতেও আইফোনেও সমকক্ষ নেই কেউ।
সেই আইফোনই ত্রুটির কারণে হ্যাকিং ঝুঁকিতে। অ্যাপলের সর্বশেষ আইওএস সংস্করণ ১২.৪ এ কিছু ত্রুটি রয়েছে। এই ত্রুটির কারণে হ্যাকিং ঝুঁকিতে রয়েছে আইফোন। এর আগের আইওএস ১২.৩ সংস্করণে ত্রুটিটি সারানো হয়েছিল।
কিন্তু নতুন সংস্করণে সেটি থেকে গেছে। ফলে যেসব আইফোনে আইওএস ১২.৪ সংস্করণটি আপডেট করা হয়েছে সেগুলো ঝুঁকিতে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
মাদারবোর্ডের নিরাপত্তা দিতে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে আইওএস ১২.৪ এর এই ত্রুটি সামাল দিতে একটি জেলব্রেক উন্মুক্ত করেছে।
এর আগে অ্যাপলের ১২.৩ আইওএস সংস্করণে এই ত্রুটি দেখতে পায় গুগলের একজন ডেভেলপার। পরে ত্রুটিটি সারায় অ্যাপল।
ধারণা করা হচ্ছে, ত্রুটি সারিয়ে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে অ্যাপল আইওএস ১২.৪.১ সংস্করণ বাজারে ছাড়বে