তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘ভারত সরকারের ১৯৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তায় আগামী চার বছরে দেশে ১২টি হাইটেক পার্ক নির্মাণের কাজ শেষ হবে। যেখানে ভারত এবং বাংলাদেশের সমন্বয়ে ৩০ হাজার যুবককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ আইটি জনশক্তি হিসেবে তৈরি করা হবে।’
আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ‘ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জনগণ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। সে কারণে তিনি দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বটাকে আরও সুদৃঢ় করেছেন। আর তাই আমরা গঙ্গার পানি চুক্তি করতে পেরেছি, পার্বত্য শান্তি চুক্তি হয়েছে, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে উন্নয়নসহ বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ১০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।’
কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস। তিনি বলেন, ‘বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আইটি সেক্টরের উন্নয়নে ভারত সহযোগিতা করে চলেছে। বাংলাদেশের ১২টি জেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপনে ভারত সরকার অর্থায়ন করছে। ভবিষ্যতেও করবে।’
যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
পরে দুপুরে একই স্থানে বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ কালচার সমস্যা সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ টিনা জাবিন। তিনি নতুন উদ্যোক্তা তৈরির জন্য স্টার্ট-আপদের মেন্টরিং ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ফান্ড পেতে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন।