আবারও শাওমির একটি হ্যান্ডসেট বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ডা. বাকির হোসেন নামের এই গ্রাহক শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিস্ফোরণের ছবিসহ বিবরণ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন।
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেনের বাসায় শাওমির ‘Xiaomi mi a1’ মডেলের একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বিস্ফোরিত হয়েছে।
পরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘নামাজ পড়ে ঘুম ঘুম চোখে বিছানায়, হঠাৎ কোনোকিছু বিস্ফোরণ হওয়ার শব্দে লাফ দিয়ে পাশের রুমে গিয়ে যা দেখলাম!!! আরও বড় দুর্ঘটনা থেকে আল্লাহ বাঁচিয়েছেন। সুতরাং, মোবাইল মনে হয় ছোটখাটো বিস্ফোরক!!!’
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ভোরে চার্জ দেওয়া অবস্থায় মোবাইল ফোনটি বিস্ফোরিত হয়।
একই সঙ্গে ওই স্ট্যাটাসের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই মোবাইল ফোনটি কোন কোম্পানির তা জানতে চান। যার উত্তরে ডা. বাকির হোসেন লিখেছেন মোবাইল ফোনটি ‘Xiaomi mi a1’ মডেলের। যা তার ছেলের এবং চার্জে ছিল।
সারাদেশে থামছেই না শাওমির মোবাইলফোন বিস্ফোরণ। একের পর এক ঘটনা ঘটছে দেশজুড়ে। অথচ বিস্ফোরণের দিকটা বিবেচনায় না নিয়ে বাজার দাপিয়ে নিজেদের সাফাই গাইছে কোম্পানিটি। কাস্টমারের নিরাপত্তা নিয়ে মোটেই চিন্তিত নয় তারা। আগের একাধিক মোবাইল বিস্ফোরণের বিষয়ে তারা কাস্টমারের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় বললেও বাস্তবতা ভিন্ন।
এই বিষয়ে শাওমি থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আমরা আমাদের গ্রাহকদের নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেই এবং তাই আমাদের সবগুলো ডিভাইস উচ্চ শিল্পমান নিশ্চিত করে কঠোর মান পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং ব্যবহারকারীর সাথে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিষয়টি আরও তদন্ত করে আমরা আপনাদের কাছে বিস্তারিত শেয়ার করবো। শাওমি সব সময় নিশ্চিত করতে চায় যে, আমাদের সম্মানিত গ্রাহকরা আমাদের পণ্য ও সেবায় সত্যিই সন্তুষ্ট এবং ভবিষ্যতেও আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
২০১৮ সালের সেরা বিস্ফোরিত ফোনের তালিকায় প্রথমে ছিল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শাওমি । বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশ কিছু ফোন বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে । বিস্ফোরিত ফোনের তালিকায় থাকা ফোনের মধ্যে সবার প্রথমে রয়েছে শাওমির রেড মি নোট ৪ ।