ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রগতিশীলতা হচ্ছে সমাজ বদলের যাত্রায় শতশত বছরের পিছিয়ে থাকা বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নেয়ার অঙ্গিকার। সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের প্রণিত সংবিধানের মূল চার নীতিতে প্রগতিশীলতার মন্ত্র নিহিত আছে। সমকালীন বিশে^ প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ১৯৭৩ সালে আইটিইউতে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তি এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় স্থাপনের যুগান্তকারি পদক্ষেপই শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছে। পৃথিবীতে জিডিপি অর্জনকারি প্রথম স্থানের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম এর উদ্যোগে আয়োজিত প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতৃত্বে শেখ হাসিনা শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আহয়ক ড. মীজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নিরপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ, সাবেক সচিব মো: নাসির উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সদস্য সচিব মিল্টন বিশ্বস।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালিন সময়ে বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ হাসিনার সাদা মাঠা জীবন যাপন বর্ণনা করে বলেন, স্মৃতিতে যখনই তাকে নিয়ে আলোচনা করার প্রশ্ন আসে, তখনই একটু সেদিকে চলে যাই। আমি স্মরণ করি ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের কলা ভবনের দোতলায় বাংলা বিভাগে এক ভদ্র মহিলাকে। তাঁর একটি সাদামাটা আটপৌড়ে তাঁতের শাড়ি থাকত, মুখের মধ্যে কোনদিন স্নো, পাউডার, লিপস্টিক দিয়েছেন, এটি আমার স্মৃতিতে পড়ে না। আমাদের এই সময়কালে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন, তারা কেউ গ্রাম থেকে এসেছেস, মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছেন, নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছেন। তাদের সঙ্গে যে সময়টা তিনি কাটিয়ে এসেছেন, তাদের কারো পক্ষে বলা কঠিন ছিল, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা।
শেখ হাসিনা যে জীবন-যাপন করতেন সেখানে ি অতি সাধারণ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে মিছিল মিটিং থেকে শুরু করে ছাত্রলীগের সব কর্মকান্ডে তিনি উপস্থিত থাকতেন। একজন সদস্য বিবাহিত মহিলা তার ছাত্র জীবন ও সংসার জীবন একসাথে করে কেমন করে যে সমন্বয় করে চলছেন, সেটি স্মৃতি জারণ করতে গেলে আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়। সকল পর্যায়ের বৈষম্য দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যেই বাংলাদেশে ১ শতাংশও শিক্ষার হার ছিল না মেয়েদের, সেখানে এখন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শুধুমাত্র ৫৩ শতাংশ ছাত্রী।পৃথিবীর বহু দেশে আমরা যেখানে যাই সেখানে তারা জিজ্ঞেস করে আমাদের একটু শিখাইয়া দাও কেমন করে সামনে যেতে হয়। এই সামগ্রিক রূপান্তরটা এর পুরোটাই হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ যদি থাকে তবে বাংলাদেশকে অন্যদের অনুসরণ করতে হবে। এর বিকল্প আমি অন্তত চোখে দেখি না। যে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে টাকা দেয়নি, সেই বিশ্বব্যাংক এসে বলছে তোমাদেরকে টাকা-পয়সা দেই দু’একটা প্রজেক্ট কর না কেন? আমি ওরে বলে দিয়েছি, তোমার টাকার আর দরকার হবে না, থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ, একটা পাটের নৌকা উপহার দিয়া বিদায় করে দিয়েছি। এটিই বাংলাদেশ, আমরা সেই জায়গায় পৌঁছেছি বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।