মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবসার অনুমোদনের নামে হুয়াওয়ের প্রতিটি সরঞ্জাম ব্যবহার এবং সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের নেটওয়ার্কগুলিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে সাইবার হামলা চালিয়েছে এবং তাদের কর্মীদের হুমকি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র গত ১৬ মে হুয়াওয়কে কালো তালিকাভুক্ত করে। মার্কিন কোম্পানিগুলোকে সেই সময় ওয়াশিংটন নির্দেশ দিয়েছিল, হুয়াওয়ের সঙ্গে বাণিজ্য চালাতে গেলে লাইসেন্স নিতে হবে।
মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের বলি হয় হুয়াওয়ে। এমনকি হুয়াওয়ের ওপর অবরোধ চাপানোরও আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র কোম্পানিটির ব্যবসা পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছিল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হুয়াওয়ে অভিযোগ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের কর্মীদের আটকে রেখেছে। হুয়াওয়ের অভ্যন্তরীণ তথ্য জানার চেষ্টায় সাইবার আক্রমণের সাথে সাথে এফবিআইয়ের এজেন্টরা তাদের কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য চাপ দিয়েছে।
হুয়াওয়ের ব্যবসার ক্ষতির কারণ স্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
গত মে মাসে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
তারপর প্রায় এক মাস পর জাপানের ওসাকায় অনুষ্ঠিত জি–২০ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠক শেষে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।