‘রোহিঙ্গাদের টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কিত বিটিআরসির নির্দেশনা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার রাজধানীর তোপখানা রোডের নির্মল সেন মিলনায়তনে রোহিঙ্গাদের টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কিত সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ উত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত ৩১ আগস্ট গণমাধ্যমে ‘অবৈধভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যবহার করে সংগঠিত হচ্ছে রোহিঙ্গা’ শিরোনামে বিবৃতি দেই। জাতীয় গুরুত্ব বিবেচনা করে বিভিন্ন গণমাধ্যম বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি সরকার আমলে নিয়ে বিটিআরসিকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়।’
‘বিটিআরসি অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা দেয়, যেখানে বলা হয়, আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো ধরনের সিম বিক্রি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সিম ব্যবহার বন্ধ তথা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মোবাইল সুবিধাদি না দেয়া সংক্রান্ত সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করে বিটিআরসিকে অবগত করার নির্দেশনা দেয়া হয়। পরদিন আরেক নির্দেশনায় বলা হয়, সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ৩জি ও ৪জি সেবা বন্ধ থাকবে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধ সেবা নিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী নাগরিকরা সংগঠিত হচ্ছে, অপরাধ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করছে। এমতাবস্থায় তাদেরকে সাতদিন দূরে থাক, এক ঘন্টার জন্য বিটিআরসি টেলিযোগযোগ ও ইন্টারনেট সেবা দিতে পারে কি না বা তাদের সেই ক্ষমতা আছে কি না তা আমাদের প্রশ্ন।’
‘২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে বৈধ নাগরিকদের সিম নিবন্ধনের সময় শেষ হবার পর রাত ১২টার পর নিবন্ধন করতে ব্যর্থ সব সিম বন্ধ করা হয়েছিল। গত দুই মাস আগেও ২৩ লাখ সিম বন্ধ করা হলো। অথচ অবৈধ নাগরিকদের বেলায় সাত কার্যদিবসেও কেন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া গেল না, তা আমরা জানতে চাই।’
ইন্টারনেট সেবা বন্ধে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শগুলো হচ্ছে – রোহিঙ্গদের হাতে বাংলাদেশি যেসব নাগরিক তাদের নিবন্ধিত সিম বিক্রি করেছেন, পাশাপাশি যেসব অপারেটর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিম বিক্রি করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় সব ধরনের করপোরেট সিম বন্ধ করা, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরতদের সিম সক্রিয় রেখে বাকি সব সিমের সংযোগ নিষ্ক্রিয় করা, আগের নেয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যবহৃত টেলিকম সেবা বুথ চালু রাখা, অবৈধভাবে টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত ও সীমান্তের ওপারে নেটওয়ার্ক বন্ধ করা ইত্যাদি।