মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক জাহাজের অবস্থান নিশ্চিত করা, পণ্যবাহী জাহাজ বুকিং করা এবং চলন্ত জাহাজ থেকে পণ্য কেনা-বেচার মতো সুবিধা নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো জলপথে ব্যতিক্রমধর্মী অ্যাপের যাত্রা শুরু হয়েছে।
‘জাহাজী’ নামক অ্যাপটির উদ্ভাবন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সাবেক দুই ছাত্র।
এরা হলেন খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের কাজল আবদুল্লাহ এবং বটিয়াঘাটা উপজেলার কিসমত ফুলতলার অভিনন্দন জোতদার।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাহাজী’ অ্যাপটির উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রায় সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে ‘জাহাজী’ অ্যাপটিতে সাইন আপ করেছেন সহস্রাধিক গ্রাহক।
বর্তমানে ২১টি জাহাজে ‘জাহাজী’ অ্যাপ ব্যবহারের জন্য ডিভাইস ইনস্টল করা হয়েছে। এই মাসের মধ্যে দুই শতাধিক জাহাজে ডিভাইস ইনস্টল করা হবে। অ্যাপটির সুবিধা প্রাথমিকভাবে ১৫টি রুটের নৌ-পরিবহনগুলো পাবেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহপাঠী লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করেন। কিন্তু ব্যবসার পরিকল্পনা থাকায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে তারা জাহাজী লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন।
এটি ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসের কথা। যা দৃশ্যমান হয়েছে চলতি মাসের ৮ সেপ্টেম্বর। অবশ্য এর আগে ২০১৭ সালেই অভিনন্দন জোতদার জাহাজ ব্যবসা করার সময় নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন।
সেখান থেকেই তিনি এমন একটি অ্যাপ সেবা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেন। পরে বন্ধু কাজল আবদুল্লাহ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র বাহাউদ্দিন রূপককে নিয়ে জাহাজ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করা হয়।
লিমিটেড কোম্পানির সভাপতি করা হয় রূপককে। ‘জাহাজী’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা অভিনন্দন জোতদার যুগান্তরকে বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় মোংলা, পায়রা, নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি রুটে অ্যাপটির সেবা মিলছে।
‘জাহাজী’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা কাজল আবদুল্লাহ যুগান্তরকে জানান, শেপিং ইয়োর শিপিং। অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যকে ডিজিটালভাবে রূপ নেয়ার জন্য কাজ করছে জাহাজী লিমিটেড।