অনলাইন অ্যাপ মানুষের উপকারের জন্য হলেও গুগল প্লেস্টোরে ১৭২টি ক্ষতিকর প্রোগ্রামযুক্ত অ্যাপের খোঁজ পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব অ্যাপ ৩ কোটি ৩৫ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ইসেটের গবেষকেরা এ তথ্য জানান।
ইসেটের গবেষক লুকাস স্টেফাঙ্কো বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে গুগল প্লেস্টোরে থাকা ক্ষতিকর ১৭২টি অ্যাপে অ্যাডওয়্যার পাওয়া গেছে। এসব অ্যাডওয়্যার ডিভাইসে ইনস্টল হয়ে ব্যবহারকারীর তথ্য চুরিসহ নানা ক্ষতি করতে পারে। সাইবার দুর্বৃত্তরা এসব ক্ষতিকর অ্যাপ কাজে লাগিয়ে অর্থ পর্যন্ত হাতিয়ে নিতে পারে।
অ্যাপগুলো হলো, বিচ ক্যামেরা, মিনি ক্যামেরা, সার্টেন ওয়ালপেপার, রেডওয়ার্ড ক্লিন, এজ ফেস, অল্টার মেসেজ, সবি ক্যামেরা, ডিক্লেয়ার মেসেজ, ডিসপ্লে ক্যামেরা, র্যাপিড ফেস স্ক্যানার, লিফ ফেস স্ক্যানার, ব্রড পিকচার এডিটিং, কিউট ক্যামেরা,
ড্যাজল ওয়ালপেপার, স্পার্ক ওয়ালপেপার, ক্লাইমেট এসএমএস, গ্রেট ভিপিএন, হিউমার ক্যামেরা, প্রিন্ট প্ল্যান স্ক্যান, অ্যাডভোকেট ওয়ালপেপার, রুডি এসএমএস মড, ইগনাইট ক্লিন, অ্যান্টিভাইরাস সিকিউরিটি-সিকিউরিটি স্ক্যান,কোলাট ফেস স্ক্যানার।
স্টেফাঙ্কো বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত বিজ্ঞাপন দেখানো বা অ্যাডওয়্যার এখনকার জনপ্রিয় ক্যাটাগরি যাতে অ্যাপ ইনস্টল হওয়ার পর ব্যাংকিং খাতের ট্রোজান ভাইরাসের মতো আর কোনো ইনপুট প্রয়োজন হয় না। এসব অ্যাডওয়্যার নির্মাতারা শুরু থেকেই অর্থ হাতিয়ে নিতে থাকে।
এসব অ্যাডওয়্যার তৈরি করা সহজ। ফলে ট্রোজান বা র্যানসমওয়্যার তৈরির পরিবর্তে এ ধরনের ক্ষতিকর অ্যাপ তৈরির পেছনে ছুটছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। এসব অ্যাপ ডাউনলোড করলে নানা সাবসক্রিপশন স্ক্যাম ছড়ায়। এসএমএস প্রিমিয়াম সাবসক্রিপশনের মতো নানা খরচ করতে থাকে।
ক্ষতিকর এসব অ্যাপ সম্পর্কে তথ্য জানানোর পর তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গত মাসে গুগল প্লে-স্টোর থেকে চীনা অ্যাপ নির্মাতা আইহ্যান্ডির তৈরি ৪৬টি অ্যাপ সরিয়ে ফেলে গুগল।
এর আগে গুগল প্লে-স্টোরে ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর প্রোগ্রাম কয়েকটি অ্যাপে ছড়িয়ে পড়ায় তা সরিয়ে ফেলার কথা বলেন সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিএসআইএসের গবেষকেরা।
তারা বলেন, গুগল প্লে-স্টোরে থাকা ২৪টি অ্যাপে ‘জোকার’ নামের একটি ক্ষতিকর ম্যালওয়্যারের সন্ধান পেয়েছে। ম্যালওয়্যারটি প্রায় পাঁচ লাখ ডিভাইসে ছড়িয়েছে। এসব অ্যাপ আপনার অ্যান্ড্রয়েড সেটে ইনস্টল করা থাকলে তা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ছাড়াও অজান্তে মোবাইলের টাকা শেষ করে করে ফেলতে পারে।
জোকার নীরবে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন-ভর্তি ওয়েবসাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং মোবাইল থেকে এসএমএস, কনটাক্ট লিস্টসহ ডিভাইসের নানা তথ্য হাতিয়ে নেয়।