এর আগে হুয়াওয়ের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা হুমকির অভিযোগে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র
চীনে উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের অভিযোগে ২৮টি চীনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় ৮টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানেরও নাম রয়েছে। এর আগে হুয়াওয়ের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা হুমকির অভিযোগে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।
এবার নতুন করে কালো তালিকাভুক্ত করায় চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসায় সমস্যা সৃষ্টি হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে যন্ত্রাংশ কিনতে গেলে সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
কালো তালিকাভুক্ত চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:
ডাহুয়া টেকনোলজিস: ডাহুয়া মূলত ভিডিও নজরদারি পণ্য ও সেবা দিয়ে থাকে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নজরদারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ডাহুয়া। এশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাজুড়ে ডাহুয়ার ৩৫টি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
হিক ভিশন: বিশ্বের বৃহত্তম নিরাপত্তা পণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিক ভিশন। চীনের হ্যাংঝোভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির কানাডা, লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গবেষণা ও উন্নয়নকেন্দ্র রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আইফ্লাইটেক: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণা ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে আইফ্লাইটেক। এটি স্পিচ টেকনোলজি, সফটওয়্যার ও চিপ পণ্য তৈরি করে। আলিবাবা, টেনসেন্ট ও বাইদুর পাশাপাশি একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইফ্লাইটেককে ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং ও স্বয়ংক্রিয় গাড়ির হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার তৈরির জন্য বলেছে বেইজিং।
মেগভি টেকনোলজি: ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্ট স্টার্টআপ মেগভি। চীনের সবচেয়ে মূল্যবান উদ্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয় মেগভিকে। চীনের বিভিন্ন বিনয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রচুর বিনিয়োগ পেয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর গবেষণা চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
সেন্সটাইম: চীনে দ্রুত বর্ধিষ্ণু ও মূল্যবান স্টার্টআপগুলোর মধ্যে অন্যতম সেন্সটাইম। প্রতিষ্ঠানটি ভয়েজ রিকগনিশন, ভিডিও বিশ্লেষণ ও স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চালনার সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করে। অপো ও ভিভোর মতো মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সেন্সটাইমের ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার ব্যবহার করে। সফটব্যাংক, সিলভার লেক, টাইগার গ্লোবাল, ফিডেলটি ইন্টারন্যাশনালের মতো বৈশ্বিক শক্তিশালী বিনিয়োগকারীরা এ প্রতিষ্ঠানটিতে ব্যাপক বিনিয়োগ করে রেখেছে।
শিয়ামেন মিয়া পিকো ইনফরমেশন: প্রতিষ্ঠানটি ডিজিটাল ডেটা রিকভারি নিয়ে কাজ করে। তাদের বিগ ডেটাকে কাজে লাগানোর প্ল্যাটফর্ম আছে। এছাড়া নেটওয়ার্ক স্পেস সার্চ পণ্য, ভিডিও বিশ্লেষণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে লাগে এমন সফটওয়্যার তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। চীনের সবচেয়ে মূল্যবান স্টার্টআপগুলোর একটি শিয়ামেন মিয়া পিকো ইনফরমেশন।
ইতু টেকনোলজিস: ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত ইতু টেকনোলজিস মূলত ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে। চীনের সাংহাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি দেশটির অন্যতম মূল্যবান স্টার্টআপ হিসেবে বিবেচিত হয়। ইতুর দাবি, তাদের ফেসিয়াল রিকগনিশক প্ল্যাটফর্ম মাত্র এক সেকেন্ডে ১০০ কোটি মানুষের চেহারা সনাক্ত করতে পারে।
ইশিন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি: এটি মূলত ন্যানো টেকনোলজির স্টার্ট আপ। চীনের অন্যতম মূল্যবান স্টার্টআপ হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইশিনকে।