কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির দীর্ঘ গবেষণায় বড় এক মাইলফলকে পৌঁছানোর ঘোষণা দিয়েছেন গুগলের গবেষকরা, যার পথ ধরে কম্পিউটার প্রযুক্তিতে রীতিমত বিপ্লব ঘটে যাওয়ার আশা জেগেছে।
বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে গুগলের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সান্তা বারবারায় তাদের ল্যাবে তারা একটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করেছে ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ডে, যা করতে এখনকার সুপার কম্পিউটারগুলো ১০ হাজার বছরেও শেষ করার সক্ষমতা রাখে না।
কম্পিউটিংয়ের এই গতিকে বলা হচ্ছে কোয়ান্টাম সুপ্রিমেসি, যা অর্জন করতে পেরেছেন বলে গুগলের বিজ্ঞানীদের দাবি।
নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, বিজ্ঞানীরা গুগলের এই ঘোষণাকে তুলনা করছেন ১৯০৩ সালে রাইট ভাইদের প্রথম আকাশে ওড়ার ঘটনার সঙ্গে।
প্রকাশের আগে গুগলের ওই গবেষণা প্রতিবেদন পর্যালোচনায় যুক্ত থাকা টেক্সাস ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞানী স্কট অ্যান্ডারসন বলেন, রাইট ভাইরা যে উড়ুক্কুযানে প্রথম উড়েছিলেন, তা সত্যিকার অর্থে ব্যবহারযোগ্য উড়োজাহাজ ছিল না। কিন্তু তারা প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে উড়োজাহাজ তৈরি সম্ভব, আর তারা তা প্রমাণ করতে পেরেছিলেন।
এই কোয়ান্টাম মেশিন, যা কিনা বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ গবেষণার ফসল, তা কাজ করবে আজকের পরিচিত কম্পিউটারের চেয়ে পুরোপুরি ভিন্নভাবে।
বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এই যন্ত্র একদিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সকে অনেক এগিয়ে নেবে অথবা এখনকার ফাইল এনক্রিপশন ব্যবস্থাকে সহজেই ভেঙে ফেলতে পারবে।