ঘুষ দিয়ে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ায় স্যামসাংয়ের উত্তরাধিকারী জে ইয়াং লির বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছে। স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের ভাইস প্রেসিডেন্ট লির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি কিছু সুবিধার বিনিময়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হের ঘনিষ্ঠ বন্ধু চোই সুন-সিলের অলাভজনক কোম্পানিকে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ডলার (৪৩ বিলিয়ন উন) ঘুষ দিয়েছেন। এই কেলেঙ্কারির কারণে পার্লামেন্টে পার্ককে অভিশংসনের পক্ষে ভোট পড়ে।
ওই মামলার বিচারকাজে নিযুক্ত একজন বিচারক বলেছেন, মামলার রায় যা-ই হোক না কেন, স্যামসাং উত্তরাধিকারীকে তা বিনীতভাবে গ্রহণ করতে হবে। গতকাল শুক্রবার করা ওই মন্তব্যের মাধ্যমে স্যামসাং গ্রুপের উত্তরাধিকারীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি আসতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৭ সালের ঘুষের মামলাটিতে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ আদালতের পর্যালোচনার আদেশের পর সিউল হাইকোর্টে প্রথম শুনানিতে হাজির হন লি । তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় লি জে-ওং নামেও পরিচিত।
এর আগে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের লি বলেন, ‘অনেক মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টির জন্য আমি দুঃখিত।’
আদালতে বিচারক বলেন, শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বের দুর্নীতি ঠেকাতে স্যামসাংয়ের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকা উচিত।
দুর্নীতির দায়ে ২০১৭ সালে বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন ও চিপ নির্মাতা স্যামসাং গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান লি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘুষ প্রদান ও তহবিল তছরুপের দায়ে লিকে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন কোরিয়ার একটি নিম্ন আদালত। ঘুষ গ্রহণ, অর্থ আত্মসাৎ, মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে লির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়। তদন্তের অংশ হিসেবে গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি স্যামসাংয়ের উত্তরাধিকারী ৪৯ বছর বয়সী লিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে আপিল বিভাগে লি জে ইয়ং-এর সাজা কমিয়ে তাঁকে আড়াই বছরের স্থগিত সাজা দেওয়া হয়। এ সময় তিনি একই ধরনের কোনো অপরাধ করলে তাঁকে আবার চার বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করা হয়।