চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৫। এর আওতায় এবার ওয়ালটনের ফ্রিজ ক্রেতাদের দেয়া হচ্ছে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার। এরই মধ্যে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন অনেকেই। সম্প্রতি নোয়াখালীর কৃষক নুরুল আমিন এবং বগুড়ার মহিষবাথান গ্রামের দর্জি আব্দুল মজিদ শেখের হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন এবং সাইমন সাদিক।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এর মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও গ্রাহক দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে সহজেই কাক্সিক্ষত সেবা নিতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ফ্রিজ বিক্রিতে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
নোয়াখালির কবিরহাটে ওয়ালটনের পরিবেশক ‘মায়া ইলেকট্রনিক্স সেল্স এন্ড সার্ভিসিং’ থেকে ২৫২ লিটারের একটি ফ্রিজ কিনে ২০০% ক্যাশ ভাউচার পান সদর উপজেলার বাহদুরপুর গ্রামের কৃষক নুরুল আমিন। ১৭ অক্টোবর তার হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন নায়ক ইমন, উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সামসুদ্দীন, ভাইস চেয়ারম্যান নুর আলম সিদ্দিকী রাজু এবং শোরুমের স্বত্ত্বাধিকারী হারুনুর রশীদ।
অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক ইমন বলেন, ওয়ালটন আমাদের কাছে একটি গর্বের নাম। বাংলাদেশেই বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করছে তারা। ওয়ালটন পণ্যের মান খুবই ভালো। যার ফলে দেশের মানুষের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। চাহিদা বাড়ছে বিদেশেও। ওয়ালটনেই আস্থা রাখছেন ক্রেতারা। আমার বিশ্বাস খুব শিগগিরই ওয়ালটন বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হবে।
ক্যাশ ভাউচারের টাকা দিয়ে নুরুল আমিন একটি করে ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, ব্লেন্ডার, ফ্যান, প্রেশার কুকার, টর্চ লাইট ইত্যাদি কিনেছেন। তিনি বলেন, অভাবের সংসারে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে ফ্রিজটা কিনেছিলাম। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে তার দ্বিগুণ টাকা ফেরত পেলাম। ওয়ালটন থেকে পাওয়া ওই টাকা দিয়ে কেনা ফ্রিজটা মেয়েকে উপহার দেবো। অন্য পণ্যগুলা নিজেরা ব্যবহার করবো। আমাদের জন্য এত সুবিধা রাখায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।
এর আগে, বগুড়ার কাহালু উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল মজিদ দুপচাঁচিয়া ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৩০৯ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। যা দেখে আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
১৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে আব্দুল মজিদের কাছে ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল হক।
অনুষ্ঠানে সাইমন সাদিক বলেন, সাশ্রয়ী দামে উচ্চমানের পণ্য দিয়ে সবার মন জয় করে নিয়েছে ওয়ালটন। পাশাপাশি তারা ক্রেতাদের দিচ্ছে বিভিন্ন সুবিধা। এই ক্যাশ ভাউচার হস্তান্তর অনুষ্ঠান প্রমাণ করে ক্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি ওয়ালটন পুরোপুরি রক্ষা করে। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ এবং ক্রেতাদের জন্য শুভকামনা।
ক্রেতা মজিদ শেখ বলেন, ওয়ালটন দেশীয় কোম্পানি তাই সব সময় তাদের পণ্য কিনে আসছি। সংবাদপত্র এবং টিভিতে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন এবং এতে দেয়া সুবিধার কথা জানতে পারি। কিন্তু আমি যে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পেয়ে যাবো, সেটা কল্পনাও করি নাই। ওই টাকা দিয়ে আমি আরো দুইটা ফ্রিজ কিনেছি।
জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের দেড় শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের ডিরেক্ট কুল বা ফস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার। এসব রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজারের দাম ১০ হাজার টাকা থেকে ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি কিস্তিতে কেনারও সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ঘরে বসে অনলাইনে ইপ্লাজা.ওয়ালটনবিডি.কম (বঢ়ষধুধ.ধিষঃড়হনফ.পড়স) থেকে ফ্রিজসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য কেনা যাচ্ছে। কিস্তি সুবিধা এবং অনলাইনে কেনা ফ্রিজেও ক্যাশ ভাউচার এবং ক্যাশব্যাকের সুযোগ রয়েছে।
এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭০টিরও বেশি সার্ভিস পয়েন্ট।
উল্লেখ্য, এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিংয়ে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে রয়েছে বিএসটিআই সনদ। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট।
উৎপাদনের পর বাংলাদেশ এক্রিডিয়েশন বোর্ড (বিএবি) অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত-ইউটিএইচ ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে প্রতিটি ওয়ালটন ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হয়।