সম্প্রতি ফেসবুক ডার্ক মোড চালু করেছে। ওয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামেও যুক্ত হচ্ছে ফিচারটির মূল সংস্করণ। ডার্ক মোড হচ্ছে এমন একটি ফিচার যা স্ক্রিনের খালি অংশগুলো কালো করে দেয়। মানে ওয়েব পেজের ‘ব্যাকগ্রাউন্ড কালার’ কালো হয়ে যাবে।
অনেকে মনে করেন, ডার্ক মোড ব্যবহার করে চোখের ক্ষতি এড়ানো যাবে। তাছাড়া এই ফিচার ব্যবহার করলে ব্যাটারিও সেভ করা যায় অনেকটা। কিন্তু এই মোড ঠিক কতটা ক্ষতি করছে তা অনেকেরই অজানা। দাবি করা হয়, এই মোড ব্যবহারে মোবাইল ফোনের রশ্মি থেকে চোখে যা ক্ষতি হয় তা কিছুটা রোধ করা সম্ভব। কিন্তু এক সমীক্ষায় জানা গেছে, নাইট মোড মানেই যে তা চোখের জন্য ভালো, তা কিন্তু একেবারেই নয়। অনেক ক্ষেত্রে ঠিক তার উল্টো হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডার্ক মোড ব্যবহার করতে হবে সময় বুঝে, নাহয় ক্ষতিগ্রস্থ হবে চোখ। জানানো হয়েছে, আপনি যখন মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখবেন তখন ব্যবহার করতে পারেন এই ডার্ক মোড। কিন্তু ভিডিও দেখা ছাড়া আর প্রায় সবক্ষেত্রেই মোবাইল ফোনে ডার্ক মোডের ব্যবহার ক্ষতি করে আপনার চোখের। প্রয়োজন বুঝে সঠিক ক্ষেত্রেই ডার্ক মোড ব্যবহার করা উচিত।
দিনের বেলা আপনার ঘুমের সময় ঘরে সূর্যের আলো পড়লে আপনি কি তখন জানালার পর্দা টানেন? কেন টানেন? কারণ আপনার আইরিসটি যে পরিমাণ আলো নিতে হবে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে কোনো ডিভাইসে ডার্ক মোডে কিছু দেখলে চোখ কম আলোতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। তখন যদি কোনো উজ্জ্বল স্ক্রিনের দিকে তাকানো হয় তখন খুব অস্বস্তি লাগে। যা চোখের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
সাধারণত যখন চারপাশে অন্ধকার থাকে তখন রাতে স্ক্রিনের ঝলকানি কেটে ফেলা উপকারী হতে পারে। এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণও নেই যে ডিভাইসগুলো থেকে নীল আলো চোখের ক্ষতি করে এবং ডার্ক মোড চোখের জন্য উপকারী। গবেষকরা মনে করেন, যে লোকেরা দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিন দেখার পরেও যে অস্বস্তি বোধ করে তা উজ্জ্বলতার চেয়ে কম ঝলকানোর কারণে হয়।