মশার জ্বালায় জনজীবন অতিষ্ঠ। শুধু আমাদের দেশ নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষও এর যন্ত্রণায় বিরক্ত। মশা তাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যেই নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি মাস কয়েক আগে মশা নিধন করতে যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে ড্রোন নামিয়েছিল গুগল।
এবার মশা দমন করতে আরও এক ধাপ এগিয়ে দায়িত্ব নিলো নাসা। তার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার ল্যাবরেটরি। এর ফলে যা হতে যাচ্ছে তা সত্যিই অবাক করার মতো। ছোটবেলায় আমরা শুনেছি, মশা মারতে কামান দাগা। এবার কামান নয়, রীতিমতো স্যাটেলাইট ব্যবহার করবে নাসা।
এছাড়াও তৈরি করা হয়েছে ছোট ছোট অজস্র দল। থাকছে এয়ার ট্র্যাপিংয়ের ব্যবস্থাও।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু বড় শহরের (ক্যালিফোর্নিয়া, সান ফ্রান্সিসকো) মানুষ মশার জ্বালায় নাজেহাল। গত কয়েক দশক ধরেই চলছে এই অত্যাচার। যত দিন যাচ্ছে এর ভয়াবহতা যেন বেড়েই চলছে।
২০০৪ সালে মশার যা প্রাদুর্ভাব ছিল, ২০১৬ তে এসে তা বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। পাঁচ বছর আগেই ক্যালিফোর্নিয়া শহরে প্রথম এই কাজটি করে নাসা। তাতে বিপুল সাফল্যও আসে।
জানা যায়, কোথায় মশা জন্মানোর পরিবেশ-পরিস্থিতি রয়েছে সেদিকে খেয়াল রাখবে স্যাটেলাইটটি। সেই তথ্য চলে যাবে টিমের কাছে। এই টিমে আছেন বিভিন্ন পতঙ্গবিদ, বিজ্ঞানী, পতঙ্গবিদ্যার অধ্যাপকসহ অনেকেই। তারা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে মশার ডিম পাড়ার খবর, লার্ভা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা, মশার শরীরে কতটা জীবাণু, আদৌ কোনো রোগ ছড়ানোর ক্ষমতা তাদের আছে কিনা এ পুরো বিষয়টাই খতিয়ে দেখবে।
সব তথ্য ও পরীক্ষার ফল জমা হবে দলের কাছে থাকা চিপে। তথ্যের এই ডাটাবেসই ছড়িয়ে দেওয়া হবে নাসার বিশেষ ওয়েবসাইটে। সেই ওয়েবসাইট নিয়মিত দেখে মশা দমনের পদক্ষেপ নেবে সরকারি দফতরগুলো। সঙ্গে থাকবে এয়ার ট্র্যাপিংয়ের ব্যবস্থাও।
উল্লেখ্য, এয়ার ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আসা মশাদের গতিবিধি ও বাতাসের গতি কোন অভিমুখে থাকে তা খতিয়ে দেখা হয়।