মস্তিষ্ক আমাদের দেহের প্রায় সমস্ত কাজ পরিচালনা করে। একইভাবে মোবাইলের সমস্ত কাজ পরিচালিত হয় প্রসেসরের দ্বারা । তাই আপনি বেশি র্যামের ফোন নিলেই যে ফোনটি খুব ভালো চলবে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই । তারজন্য আপনার ফোনের প্রসেসরটি র্যামের পাশাপাশি শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। আসুন জেনে নিই আপনার ফোনে এইমুহূর্তে কোন ধরণের প্রসেসর ব্যবহার করা হয়।
স্যামসাং এক্সিনস :
এই প্রসেসরটি স্যামসাং তৈরি করে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলির জন্য এটি একটি ভাল প্রসেসর হিসাবে বিবেচিত হয়। আপনি কোয়াড কোর এবং অক্টা কোর দুটো ভ্যারিয়েন্টেই একে পাবেন। স্যামসাং ইদানিং এই প্রসেসর কে আরও উন্নত করছে। তাদের এস সিরিজের পরবর্তী ফোনেও এক্সিনস প্রসেসর ব্যবহার করতে পারে।
কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন :
আমেরিকার কোম্পানি কোয়ালকম, স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর তৈরী করে। এই মুহূর্তে লো বাজেট ও হাই বাজেট ফোনের জন্য সবচেয়ে ভালো প্রসেসর হিসাবে মানা হয় স্ন্যাপড্রাগনকে। স্ন্যাপড্রাগনের ৮০০ সিরিজের প্রসেসর ব্যাপক জনপ্রিয়। মাল্টিটাস্কিং, গেমিং, অডিও ভিডিও শোনা বা দেখার ক্ষেত্রে এটি খুব অভিজ্ঞতা দেয়।
মিডিয়াটেক :
তাইওয়ানের এই কোম্পানি বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা প্রসেসর প্রস্তুতকারক। মূলত লো বাজেটের ফোনে এই প্রসেসর অধিক ব্যবহার হয়। অনেকে অভিযোগ করেক মিডিয়াটেক ভালো প্রসেসর নয়, সঠিক নয়। দামের হিসাবে এই প্রসেসর যথেষ্ট ভালো কাজ করে। এমনকি কোম্পানি মিডিয়াটেক হেলিও জি৯০ সিরিজ এনেছে, যেটি যথেষ্ট শক্তিশালী এবং রেডমি নোট ৮ প্রো ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে।
হিসিলিকন কিরিন :
এই প্রসেসর চীনা স্মার্টফোন কোম্পানি হুয়াওয়ে দ্বারা তৈরী করা হয়। কিরিন প্রসেসর বিশ্বের সমস্ত শক্তিশালী প্রসেসরকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এমনকি স্ন্যাপড্রাগন ৮৫৫ প্রসেসর ও এর সম্প্রতি আসা কিরিন ৯৯০ থেকে কম শক্তিশালী।
অ্যাপল বায়োনিক:
অ্যাপল তাদের ফোনের জন্য এই প্রসেসর তৈরী করে। এবছরে অ্যাপল বায়োনিক ১৩ এনেছে। যাকে কোম্পানি এইমুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রসেসর বলে দাবি করেছে।