ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, টেলিটকের প্রতি দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশী। মানুষের প্রত্যাশিত জায়গায় টেলিটককে উন্নীত করতে চলমান প্রকল্পসূমূহের দ্রুত বাস্তবায়ন এবং টেলিটককে সাধারণ মানুষের ফোন হিসেবে প্রতিষ্ঠায় যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, টেলিটক শক্তিশালী হলে মোবাইল ফোন সার্ভিসে যুগান্তকারি পরিবর্তন সূচিত হবে।
ঢাকায় গুলশানে টেলিটক সদরদপ্তরে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ১৫তম বার্ষিক সভা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের বোর্ড চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রী বলেন, তৃতীয় শিল্প বিপ্লব ছিলো কম্পিউটার কেন্দ্রীক একটি বিপ্লব। বর্তমানে অতিক্রান্ত করা সময়টিতে এটি কানেকটিভিটিতে রূপান্তরিত হয়েছে। শিল্প, বাণিজ্য কিংবা প্রশাসনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সংযোগ মূল ভিত্তি হয়ে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, টেলিটকসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন প্রত্যেকটি কোম্পানি কোন না কোন ভাবে সংযোগের সাথে যুক্ত। সেই জন্যই আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সক্ষম করে গড়ে তোলা অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় এখন আমরা একটা যুগের সমাপ্তি শেষে নতুন একটা যুগে পদার্পনের সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, ধারাবাহিকভাবে ওয়ান জি থেকে ফোর জি মোবাইল সংযোগের ভার্সন পরিবর্তিত হয়েছে কিন্তু ৫জির যুগটি হবে ভিন্ন। এটা কেবল কথা বলা বা ইন্টারনেট ব্রাউজ করা বা ফেসবুক ব্রাউজ করার প্রযুক্তি নয়। এই প্রযুক্তি হবে বিদ্যুতের মতই শিল্প, বাণিজ্যের মূল ভিত্তি। মন্ত্রী ফাইভ জি প্রযুক্তিকে তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করে সরাসরি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের শরীক হওয়ার মহাসড়ক অভিহিত করে বলেন, টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি প্রযুক্তিতেও আমরা অন্যদের শেষে শরীক হয়েছি। কিন্তু পৃথিবীতে প্রথম যে কয়টি দেশ ফাইভজি প্রযুক্তি চালু করবে, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম দেশ হবে। ২০১৮ সালে ফাইভজির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম উদ্বোধনের পর বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে গেছে। পৃথিবীর অন্তত ৬টি দেশ বাংলাদেশে টেলিটক বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রীকে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের বিজনেস প্লান বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা প্রদান করা হয়। মন্ত্রী টেলিটকের অব্যাহত অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে টেলিটক বোর্ডের সদস্যগণ ছাড়াও টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: শাহাব উদ্দিন, বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিবুল মতিন, ডট মহাপরিচালক মহসিনুল আলম এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পনি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান বক্তৃতা করেন।