চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বহুল প্রতীক্ষিত ই-পাসপোর্ট (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট) প্রদান শুরু হবে। কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যেই এ সংক্রান্ত যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান রোববার (০৮ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পাসপোর্ট প্রদান উদ্বোধন করবেন। আমরা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। আশা করছি যে, ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা তার সম্মতি পাব। খবর বাসস’র
জার্মানির একটি বিখ্যাত কোম্পানি ভেরিদোস জিএমবিএইচ দেশে ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট-এর কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, ই-পাসপোর্ট চালুর মাধ্যমে অভিবাসন প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে।
মন্ত্রী জানান, অভিবাসনের পুরো আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন হবে। ৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ইন্ট্রোডাকশন অব বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও অটোমেটিক বর্ডার কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট’- প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৮-এর জুন মেয়াদে অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদফতর সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এতে ১০ বছরে তিন কোটি পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদফতর (ডিআইপি)’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। প্রকল্প বিবরণী অনুযায়ী জার্মানি দুই মিলিয়ন পাসপোর্ট তৈরি করবে। যারা প্রথম দিকে আবেদন করবে জার্মানি থেকে তাদের পাসপোর্ট তৈরি হয়ে আসবে। পাসপোর্টের বৈধতার মেয়াদ হবে ৫ ও ১০ বছর।
ই-পাসপোর্ট এক ধরনের বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, যাতে পাসপোর্টের ডাটা পেজ-এ মুদ্রিত তথ্য সমন্বিত একটি চিপ সংযুক্ত থাকে। কোনো কোনো দেশের ই-পাসপোর্টে দুটি ফিঙ্গার প্রিন্ট সংযুক্ত হয়।
ডিআইপি ও জার্মানি ভারদোস কোম্পানি ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও ই-পাসপোর্টের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।