দেশে প্রথমবারের মতো শরিয়াহভিত্তিক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘ইসলামিক ওয়ালেট’ চালু করেছে বেসরকারিখাতের আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এআইবিএল)।
প্রতিদিনের লেনদেন, বিল পরিশোধ, অ্যাকাউন্ট পরিচালনা থেকে শুরু করে সব ধরনের আর্থিক লেনদেনের সুবিধা রয়েছে ডি-মানি বাংলাদেশের সহায়তা যাত্রা শুরু করা ইসলামিক ওয়ালেটে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে ইসলামিক ওয়ালেট উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ লাবু, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরমান আর চৌধুরী ও ডি-মানি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ৩২০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ। এটি বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে ৩৯ তম। বর্তমানে এক শতাংশ লেনদেন শরিয়াহভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজিতে হচ্ছে। ১৫টি ব্যাংক ও দু’টি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান এই সেবা দিচ্ছে।
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক সঠিক সময়ে এ ধরনের একটি পণ্য (ইসলামিক ওয়ালেট) চালু করায় ধন্যবাদ জানান সংশ্লিষ্টদের।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরমান আর চৌধুরী বলেন, ইসলামিক ওয়ালেট দেশের ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে সেবার আওতায় নিয়ে আসবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইসলামিক ওয়ালেটের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন, জমা, ট্রান্সফার, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিলপরিশোধ করা যাবে। এছাড়া বিমানসহ বিভিন্ন পরিবহনের টিকিট কেনা, টিউশন ফি প্রদান, মার্চেন্ট পেমেন্ট, কিউআর কোড স্ক্যান পেমেন্ট, মোবাইল অ্যাকাউন্ট রিচার্জ, ইন্সুরেন্সের প্রিমিয়াম পরিশোধ ও সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন করা যাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইসলামিক ওয়ালেটের পরিচিত তুলে ধরেন আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিটিও সৈয়দ মাসুদুল বারী এবং ডি-মানি বাংলাদেশের কো-ফাউন্ডার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরেফ আর বশির।
তারা বলেন, দেশে বর্তমানে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ১৫০ মিলিয়ন। ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা মানুষের পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন। ২০১৭ সালে মোবাইল ওয়ালেটের মার্কেট ছিল ১শ মিলিয়নের। ২০২৪ সালে দাঁড়াবে ২৫০ মিলিয়নে। বিশ্বব্যাপী মোবাইল ওয়ালেট বেড়েছে ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি ৩০ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ লাবু ও ডি-মানি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী প্রমুখ।