ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব, নাশকতায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রোপাগান্ডা, পর্নোগ্রাফি, ভুয়া পেইজ, দেশ বিরোধী অপপ্রচার ঠেকাতে তিন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানান তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তৃতীয়বারের মতো জাতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল ওই সংবাদ সম্মেলন।
পলক বলেন, সাইবার স্পেস নিরাপদ করার জন্য তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে । প্রথম এবং প্রধান হচ্ছে সচেতনতা তৈরি, দ্বিতীয় প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আর তৃতীয় হলো আইনের যথাযথ প্রয়োগ। এই তিনটি সঠিকভাবে করা গেলে ডিজিটাল স্পেসকে সিকিউর করা যাবে।‘ইতোমধ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি স্থাপন করেছি, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট জাতীয় সংসদের মাধ্যমে অনুমোদন পেয়েছি। এখন আমরা সচেতনতা তৈরির জন্য ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন করছি’ বলছিলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিগত সক্ষমতার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার গুজব-প্রোপাগান্ডা সহজে খুঁজে অপরাধীকে সনাক্ত করা গেলেও বাংলা ভাষায় এখনও কঠিন। দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় অধিকাংশ স্ট্যাটাস বাংলায় দেয়া হয়। সেখানে অপপ্রচার, গুজব বাংলায় করা হয়।‘ বাংলায় প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তৈরির জন্য ১৬টি টুল তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে বাংলা করপাস বা ভাষাংশ, বাংলা স্পিচ টু টেক্সট এবং টেক্সট টু স্পিচ, স্ক্রিন রিডার সফটওয়্যার, বাংলা মেশিন ট্রান্সলেটর ডেভেলপমেন্ট, সেন্টিমেন্ট অ্যানালাইসিস টুলস উন্নয়ন, বাংলার জন্য বহুভাষিক সার্ভিস প্লাটফর্মসহ বিভিন্ন টুল রয়েছে’ জানান পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এগুলোর মাধ্যমে বাংলা শব্দের কি-ওয়ার্ডগুলো দিয়ে সার্চ করে ডেটা অ্যানালিটিকসের মাধ্যমে প্রেডিক্ট করা হবে যে কোন শব্দ কারা কীভাবে ব্যবহার করছে।ইতোমধ্যে বেশ কিছু টুল তৈরি করা হয়ে গেছে।
আসছে জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী স্ক্রিন রিডার টুল উদ্বোধন করবেন বলে আশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বাকিগুলো টুলগুলো ২০২০-২১ সালের মধ্যে ডেভেলপ করা ফেলা যাবে।
এছাড়া সাইবার নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা-সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্য দেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা পুরোপুরি সম্ভব না। দেখা গেলো ২০ টি গুজব সনাক্ত করা হয়েছে একটি পেইজে বা আইডিতে কিন্তু সেটি করা হচ্ছে দেশের বাইরে থেকে। তখন অপরাধী ধরতে ওই দেশের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এবারের জাতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের প্রতিপাদ্যও এই সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব-অপপ্রচারের সচেতনতা নিয়ে। ‘সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’ হলো এই প্রতিপাদ্য।