উন্নত অবকাঠামো ও লজিস্টিকস নেটওয়ার্কের পাশাপাশি আকর্ষণীয় ও স্থিতিশীল রফতানিকেন্দ্রিক নীতিমালার কারণে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভিয়েতনাম ও চীনের মতো উৎপাদন কেন্দ্রগুলো। এ কারণে ভারত যদি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হতে চায়, তবে দেশটিকে চীন-ভিয়েতনামের মতো উৎপাদন কেন্দ্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। আর এজন্য ভারতকে আরো রফতানিবান্ধব নীতি প্রণয়ন করতে হবে। এমনটাই মনে করছেন শাওমি ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শাওমির ভাইস প্রেসিডেন্ট মানু কুমার জৈন। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এক সাক্ষাত্কারে মানু কুমার জৈন বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশ ও নেপালে স্মার্টফোন রফতানির জন্য একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করেছে চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমি। এ কারণে ভারতকে আরো রফতানিবান্ধব কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমরা সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছি।
শাওমি ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মতে, রফতানিকারকদের জন্য শুল্ক ঘাটতি রিফান্ডের মতো অল্প কিছু পদক্ষেপই এমন উদ্যোগের পক্ষে যথেষ্ট। মানু কুমার জৈন আরো বলেন, বিআইএস বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মানদণ্ড না হওয়ায় আমাদের এমন পরীক্ষাগারে বিনিয়োগ করতে হবে, যেখানে বৈশ্বিক মানের পরীক্ষা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে স্থানীয় উৎপাদন উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে ভিয়েতনামের কাছ থেকে ভারতের বহু কিছু শেখার রয়েছে।
তিনি জানান, বিদ্যমান মার্চেন্ডাইজ এক্সপোর্ট ফ্রম ইন্ডিয়া স্কিমস (এমইআইএস) বিশ্ববাণিজ্যের নিয়ম অনুসরণ না করায় এর বদলে রফতানি পণ্যে শুল্ক ছাড় বা কর মওকুফের (আরওডিটিইপি) ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার। কিন্তু ঘোষিত স্কিমটি ঘিরে এখনো যেসব স্পষ্টতা রয়েছে, তা দূর করা জরুরি।
মানু কুমার জৈনের মতে, আরো সরকারি প্রণোদনা পেলে দ্রুত রফতানি বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হবে শাওমি। তিনি বলেন, প্রতি সেকেন্ডে তিনটি স্মার্টফোন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে শাওমির। বর্তমানে আমরা শতভাগ সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছি। একই সঙ্গে আমাদের পণ্যগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সক্ষমতা ক্রমাগত সম্প্রসারিত হয়ে চলেছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে তাইওয়ানের বহুজাতিক ইলেকট্রনিকস কোম্পানি ফক্সকন ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক ফ্লেক্সের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ভারতে শাওমির সাতটি স্মার্টফোন ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে চারটি কারখানা অন্ধ্রপ্রদেশে, দুটি তামিলনাড়ুতে ও একটি নয়ডায়। ভারতের বাজারে বিক্রি হওয়া ৯৯ শতাংশের বেশি স্মার্টফোন স্থানীয়ভাবেই উৎপাদন করা হয়। এসব কারখানায় ২৫ হাজারের বেশি মানুষ কর্মরত।