চীনের পথেই হাঁটা শুরু করল রাশিয়া। বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্ব ইন্টারনেট ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে রাশিয়া সফলভাবে একটি ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখেছে।
যদিও এ বিষয়ে তাদের সরকারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। তবে দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী বিকল্প ইন্টারনেট সম্পর্কে বলেন, সাধারণ ব্যবহারকারীরা কোনো পরিবর্তন লক্ষ করেননি। এখন শুধু পরীক্ষার ফল দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দেখানো বাকি।
যুক্তরাজ্যের সারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক অ্যালান উডওয়ার্ড বলেন, দুঃখজনকভাবে রাশিয়া বিশ্ব ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথেই হাঁটছে। তিনি আরও বলেন, ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোর নাগরিকেরা ইন্টারনেটে কী করছে, সরকার তা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। যেমন ইরান ও চীন করেছে। এর অর্থ দাঁড়ায়, নাগরিকেরা জানতেই পারবেন না তাঁদের দেশে ঠিক কী হচ্ছে। সরকার তাঁদের অন্ধকারেই রেখে দেবে।
যেভাবে কাজ করবে
ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয় সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে। রাশিয়ার যে অংশে এটি রয়েছে, সেখানে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে পরিচালিত হবে এই সিস্টেম। অধ্যাপক উডওয়ার্ড বলেন, এর মাধ্যমে আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) এবং টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওই দেশের সীমানার মধ্যে পরিচালনা করা যাবে বড় ইন্ট্রানেটের মতো, যেমনটা বড় বড় প্রতিষ্ঠান করে থাকে।
এতে বিশ্বের যেকোনো কিছু রাশিয়ায় আসতে বা রাশিয়া থেকে কিছু বাইরে যেতে হলে, তা ছাঁকনির মধ্য দিয়ে হতে হবে। সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে রাশিয়ার সরকারের হাতে। রাশিয়া ইচ্ছা করলেই ব্যবহারকারীদের কোনো একটি অংশ বন্ধ করে দিতে পারে। এতে ভিপিএন (ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
রাশিয়া ইতিমধ্যে তাদের নিজস্ব সুবিধা অনুযায়ী ইন্টারনেটের বিভিন্ন বিষয় তৈরি ও পরীক্ষা করছে। যেমন তারা উইকিপিডিয়া তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির ইয়ানডেক্স, মেইল ডটআরইউয়ের মতো নানা সুবিধা রয়েছে। সর্বোপরি, দেশটির নাগরিকদের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখা যাবে। আর লাভবান হবে দেশটির নানা প্রতিষ্ঠান। সূত্র: বিবিসি