ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মেরুদণ্ড হচ্ছে ডিজিটাল সংযুক্তি। ডিজিটাল সংযুক্তিতে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় অবস্থানে উপনীত হয়েছে। ২০২১ সালে ফাইভ জি প্রযুক্তি চালুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এক নতুন সভ্যতার যুগে প্রবেশ করার সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লবে শরিক হতে না পেরে শতশত বছরের পশ্চাৎপদতা কাটিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সফল করতে সরকারের সাথে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি সংক্রান্ত উদ্ভাবক, গবেষক, শিক্ষাবীদ এবং ইন্ডাস্ট্রিজকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।
মন্ত্রী শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ আইইই কমিউনিকেশন্স সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের উদ্যোগে আয়োজিত টেলিকমিউনিকেশন্স এন্ড ফটোনিক্স শীর্ষক আইইই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী অপটিক্যাল ফাইভার এবং মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থার বিকাশে টেলিকমিউনিকেশন্স এবং ফটোনিক্স প্রযুক্তিকে অত্যন্ত কার্যকর একটি প্রযুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডিজিটাল দুনিয়ায় নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছে। ডিজিটাল পণ্যের আমদানিকারক দেশ থেকে রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করছে। নাইজেরিয়ায় ল্যাপটপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ কম্পিউটার রপ্তানি করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ৯০০টি ডিজিটাল সেবা জনগণের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন। এসব সেবা যাতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পোঁছানো যায় সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করছে। তিনি বলেন, দেশের উৎপাদিত ৯ টি মোবাইল কারখানা দেশের শতকরা ৫০ভাগ চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বুয়েট দক্ষ জনসম্পদ তৈরি করে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যারা কাজ করে তারা যথাযথভাবে ইন্ডাস্ট্রিজের সাথে মিলে কাজ করতে পারলে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, উদ্ভাবনের জন্য যে সকল দেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা এখন আর পারছে না। সময় এখন আমাদের। আমরা যদি আমাদের ছেলে মেয়েদের উদ্ভাবন কাজে লাগাতে পারি তবে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাব। তিনি উদ্ভাবকদেরকে তাদের উদ্ভাবনী মেধাস্বত্ব যথাযথভাবে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী আগামী ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় সাধারণ মানুষের সাথে ফাইভ জি প্রযুক্তির সেতুবন্ধন গড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
বুয়েট উপাচার্য প্রফেসর সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, সিটি ইউনিভার্সিটি, লন্ডন এর অধ্যাপক প্রফেসর বিএম আজিজুর রহমান, ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক প্রফেসর রকিবুল মোস্তাফা এবং বুয়েট অধ্যাপক প্রফেসর সত্য প্রসাদ মজুমদার প্রমূখ বক্তৃতা করেন।