তরুণরা দিন দিন গেমের প্রতি ঝুঁকছে। ২০১৯ সাল ছিল গেম নির্মাতা ও প্রকাশকদের জন্য ছিল দারুণ একটি বছর। আয়ের দিক দিয়ে শীর্ষস্থানে ভিডিও গেম ফোর্টনাইট। গেমটি সদ্য বিদায়ী বছরে আয় করেছে ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার।
ফোর্টনাইট ২০১৮ সালের আয়ের দিক থেকে শীর্ষে ছিল। গেমের বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সুপারডাটার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ফোর্টনাইট নির্মাতা এপিক গেমস শুধু এ গেমটি থেকে ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার মুনাফা করেছে। তবে ২০১৯ সালে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার কম আয় করেছে এর আগের বছরের চেয়ে। বিনা মূল্যের গেম হিসেবে ফোর্টনাইট বাজারের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে।
শুরুটা প্লেয়ার আননোনস ব্যাটল গ্রাউন্ডস দিয়ে হলেও, এ ধরনের গেইমের মধ্যে নিজের শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে ফোর্টনাইট ব্যাটল রয়্যাল। ২০১৮ সালের আগস্টে সেটি অ্যানড্রয়েডের জন্যও প্রকাশ করেছে এটির নির্মাতা এপিক গেমস। শুধু মাল্টিপ্লেয়ার মোডেই খেলা যাচ্ছে ফোর্টনাইট, নেই কোনো কাহিনী বা সিঙ্গেল প্লেয়ার মোড। খেলার লক্ষ্য একটিই, দলবদ্ধভাবে বা একাই একটি ম্যাচের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে।
একসঙ্গে ১০০ জন পর্যন্ত গেমার একটি ম্যাচে অংশ নিতে পারেন। ম্যাচ শুরুর আগে সবাইকে একটি দ্বীপে একত্রিত করা হবে, যেটাকে গেমের লবি বলা যেতে পারে। ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে ফোর্টনাইটের মূল দ্বীপে সবাইকে উড়ন্ত বাসে করে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর গেমাররা মন মতো জায়গার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় লাফ দিয়ে সঙ্গে থাকা গ্লাইডারে ভেসে অবতরণ করতে পারবেন। গেমের শুরুতে কোনো অস্ত্র দেয়া হবে না, দ্বীপে থাকা বাড়িঘর বা অন্যান্য স্থান থেকে অস্ত্রশস্ত্র বা বর্ম যোগার করতে হবে। সেগুলো ব্যবহার করে গেমারদের একে অপরকে দমন করে টিকে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
ফোর্টনাইট গেম নিয়ে শুরু থেকেই সমালোচনা হয়েছে। এমনকি কয়েকটি দেশে প্রথম দিকে গেমটি নিষিদ্ধের কথাও ওঠে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে অল্প সময়েই এটি জনপ্রিয় হয়। ২০১৮ সালেই গেমটির অ্যানড্রয়েড সংস্করণ বাজারে ছাড়া হয়। এরপর অল্প সময়েই এর জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে যায় সবকিছু। আর দুবছর ধরে আয়েও সবার উপরে গেমটি।