গত বৃহস্পতিবার (২জানুয়ারী, ২০২০) কোডার্সট্রাস্টের মূল ক্যাম্পাস বনানীতে ” শিক্ষার্থীদের সনদপত্র এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ” অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে গত ৫ বছরে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পাশের মানুষকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে আসছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব এন এম জিয়াউল আলম , সিনিয়র সচিব , তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব নজরুল ইসলাম খান, সাবেক শিক্ষা সচিব, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক ) এর মহাপরিচালক (অতি: সচিব ) ডঃমোঃমফিজুররহমান, কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ব্রিগ্রে : জে: ( অব:) আব্দুলহালিম এবং কেএসবি ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোডার্সট্রাস্টের কো-ফাউন্ডার জনাব আজিজ আহমদ। কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো : আতাউল গনি ওসমানী উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
কোডার্সট্রাস্টের কো- ফাউন্ডার জনাব আজিজ আহমদ কোডার্সট্রাস্টের প্রতিষ্ঠার কথা উল্ল্যেখ করে বলেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই কোডার্সট্রাস্টের জন্ম। তিনি আরো বলেন বর্তমানে বাংলাদেশে শিক্ষিত যুব সমাজের অধিকাংশই বেকার এবং তাদেরকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কর্মসংস্থান এর সুযোগ তৈরিতে উদ্দেশ্যেই কোডার্সট্রাস্ট কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাংলাদেশি আমেরিকান সফল ব্যবসায়ী সম্প্রতি ভ্যাটিকান এবং ইউরোপীয় উনিয়নের পার্লামেন্টে তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনের সাথে সাথে এর ভবিষৎ কর্ম পরিকল্পনা এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সঠিক প্রয়োগের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ কোডার্সট্রাস্ট আগামী ২০২২ সালের মধ্যে প্রায় ২ লক্ষ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।
মাননীয় প্রধান অতিথি জনাব এন এম জিয়াউল আলম ,সিনিয়রসচিব , তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ তার বক্তব্যে সরকারের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালার কথা উল্লেখ করে বলেন বাংলাদেশ বর্তমানে অনলাইন ফ্রীল্যানসিং এ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এবং কোডার্সট্রাস্ট সেই ফ্রীল্যান্সার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আইসিটি খাতে দক্ষ কর্মী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোডার্সট্রাস্টের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে এক সাথে কাজ করার আশা প্রকাশ করেন।
সাবেক শিক্ষা সচিব জনাব নজরুল ইসলাম খান তার বক্তব্যে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি এর চর্চা এবং সঠিক প্রয়োগের উপর গুরত্ব আরোপ করেন। জনাব খান কোডার্সট্রাস্টের প্রশিক্ষণের গুণগত মানের কথা উলেখ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক ) এর মহাপরিচালক ডঃ মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অসংখ্য তরুণ তৰুণী আছে যারা উপযুক্ত প্রশিক্ষণের গ্রহণ করে আত্মকর্মসংস্থানে মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।
সোনিয়া বশির কবির শিক্ষর্থীদের উদ্দেশে বলেন, তরুণ সমাজ যত দক্ষ এবং উন্নত হবে ততই দেশের জন্য কল্যাণ হবে। কোডার্সট্রাস্টের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা এবং সার্বিক কর্মান্ডের প্রসংশা করে তার নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির বিভিন্ন কর্মকান্ডের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ব্রিগ্রে : জে: ( অব:) আব্দুল হালিম দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন এবং বর্তমানে ফ্রীল্যানসিং এর মাধ্যমে আয়ের যে সুযোগ রয়েছে তা কাজে কাজে লাগিয়ে তরুণদের সাবলম্বী হওয়ার উপর আলোকপাত করেন। তিনি আরো বলেন বিশেষ করে সমাজের শিক্ষিত মেয়েদের এখনো কর্ম ক্ষেত্রে যে ধরণের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তাতে অনলাইন ফ্রীল্যানসিং করে ঘরে বসে এই করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কোডার্সট্রাস্টে বৈশ্বিক চাহিদা বিবেচনায় বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় তার মধ্যে, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, একাউন্টস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, এন্ড্রয়েড এপপ্স ডেভেলপমেন্ট অন্যতম। সম্প্রতি ভিডিও প্রোডাকশন , গেম ডেভেলপমেন্ট, অ্যাডভান্সড জাভাস্ক্রিপ্ট সহ আরো বেশ কিছু চাহিদা সম্পর্ণ নতুন কোর্স সংযোজন করা হয়েছে।