রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার নিয়ে সমালোচনার মুখেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ ধরনের বিজ্ঞাপন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা চাইলে তাঁদের বিজ্ঞাপনে মিথ্যা দাবিও করতে পারবেন। ফেসবুকে তাঁরা অর্থ খরচ করে খুশিমতো প্রচার চালাতে পারবেন। অপর দিকে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু নিয়ন্ত্রণের সুবিধা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবহারকারী কী ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে চান, তা ঠিক করে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেসবুকের বর্তমান বিজ্ঞাপন নীতিমালা গত বছর থেকেই কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে। রাজনীতিবিদদের বিজ্ঞাপনে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য প্রচারে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা আসার পর থেকেই এ সমালোচনার শুরু। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে এ ধরনের ভুয়া বিজ্ঞাপন কনটেন্ট প্রচার নিতে সরব ডেমোক্র্যাটরা।
ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছে, তাদের অ্যাড লাইব্রেরিতে আরও নতুন ফিচার যুক্ত হবে। এতে রাজনীতিবিদেরা কোন বিজ্ঞাপন চালাচ্ছেন, তা দেখা যাবে। কোন বিজ্ঞাপন দিয়ে বিজ্ঞাপনদাতা কতজনের কাছে পৌঁছাতে চান, তাও দেখা যাবে। এতে সার্চ ও ফিল্টারিং টুলও থাকবে। এ বছরের প্রথম প্রান্তিকেই এসব ফিচার যুক্ত হবে।
গত বছরের অক্টোবরে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘আমার মনে হয় না কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রাজনীতিবিদদের বক্তব্য সেন্সর করা ঠিক হবে। রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বাকস্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশেষ করে স্থানীয় প্রতিযোগী ও উদীয়মান নেতাদের জন্য এটি কার্যকর।
গত সেপ্টেম্বরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, ফেসবুকের যেসব সাধারণ নীতিমালা রয়েছে, তা রাজনীতিবিদদের জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে বিজ্ঞাপনের বিষয়টি আলাদা। এ ছাড়া বিশ্বে সহিংসতা ছড়ানোর কোনো পোস্ট হলে সেটি ব্যতিক্রম হবে। রাজনীতিবিদদের পোস্ট করা কনটেন্ট সম্পর্কে ফেসবুকের বক্তব্য হচ্ছে, তাঁদের বক্তব্যে ফেসবুক মাথা গলাতে চায় না। এতে তারা রাজনৈতিক বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে পারবে।
রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখানো নিয়ে অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফেসবুকের নীতিমালায় ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। গত অক্টোবরে সমালোচনার পর থেকে টুইটার পুরোপুরি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। গুগলের পক্ষ থেকেও কঠোর নীতিমালা আরোপের কথা জানানো হয়।