ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন জনগণের জন্য ৯০০টি ডিজিটাল সেবা ডাকঘরের মাধ্যমে তৃণমূল জনগোষ্ঠীর মধ্যে পৌঁছে দিতে ডাক অধিদপ্তরকে উপযোগী করে গড়ে তুলতে সর্বাতœক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।‘ডাকঘরের বিদ্যমান জনবলের সাথে ১৮ হাজার উদ্যোক্তা সংযুক্ত করে ডিজিটাল ডাকঘর বিনির্মাণের শক্তি ইতোমধ্যে আমরা বহুগুণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি।
মন্ত্র ীআজ ঢাকায় বিআইসিসি‘র হল অব ফেমে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত ডাক বিভাগের উদ্যোক্তা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজিি বিষয়ক সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এস ভদ্র, এটুআই প্রকল্পের পলিসি এক্সিকিউটিভ আনির চৌধুরী. ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী, নগদ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভির আহমেদ মিশুক এবং উদ্যোক্তাদের পক্ষে শাম্মী আক্তার প্রমুখ বক্তৃত াকরেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ৮৫০০ ডিজিটাল ডাকঘওে নগদ সেবা,নগদ সেবার সাথে রবির ৫ কোটি গ্রাহক অন্তর্ভূক্তি, জিপিওসহ ২০টি নতুন ডাকঘর এবং ১৮টি ডাকঘরের সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন,ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণের ফলে বিদ্যমান ইউনিয়ন ডিজিটালভিত্তিক সেবা যথেষ্ট নয়। মানুষের ডিজিটাল সেবার বর্ধিত চাহিদা মেটাতে ডাকঘর একই সেবা নিয়ে কাজ করছে।এর সাথে ডাকঘরসমূহে মোবাইলফিন্যান্স যুক্ত হচ্ছে।ডিজিটাল ডাক সেবায় আমরা ইতোমধ্যে একটা দৃশ্যমান অবস্থায় উপনীত হয়েছি।ডাকঘরের উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘ আপনারা ডিজিটাল বাংলাদেশের সৈনিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি রূপান্তরের জামানায় উপনীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ তরুণ সমাজের জন্য উৎস্বর্গ করেছিলেন। শুন্য
মাটিতে কিভাবে ফসল ফলাতে হয় তরুণরা তা জেনে ফেলেছে। এদেশের তরুণদেও উৎপাদিত সফটওয়্যার এখন পৃথিবীর ৮০টি দেশে রপ্তানী হচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণদের বিস্ময়কর উদ্ভাবনী শক্তি কাজো লাগিয়ে বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় সরকারবদ্ধ পরিকর। তিনি তরুণ উদ্যেঠক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যাদের চাকুরি করার মানসিকতা থাকে সে উদ্যোক্তা হতে পারেনা। তিনি স্টিভ জবসকে তাদেও জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ কওে সততা ,নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার আহŸান জানান। তিনি বলেন সোনার চামিচ মুখে নিয়ে জন্ম নিলে ও উদ্যোক্তা হওয়া যায়না। এই জন্য প্রয়োজন মেধার। বাংলাদেশের তরুণদের সেই মেধা আছে। তিনি বলেন তরুণদেও হাত ধওে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশ ৭২ সালের বাংলাদেশ নয়, ৪৮ সাল থেকে ৭১ সালেরও নয়। ২০২০ সালের শেখ হাসিনার বাংলাদেশ পৃথিবীর এক বিস্ময় বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।